শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় মাদকের আখড়ায় অভিযানকালে পুলিশের ওপর হামল চালিয়েছে মাদককারারিরা। এসময় পুলিশের হাত থেকে ইলিয়াস শিকাদর (৪০) নামে চিহ্নিত এক মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নিয়েছে তার সহযোগীরা। সহযোগীদের হামলায় আহত হয়েছেন পুলিশের দুই সদস্য।
আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন শরণখোলা থানার এএসআই শফিক ও কনস্টেবল মিলন হোসেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাগেরহাটের উপজেলার পশ্চিম খোন্তাকাটা গ্রামে। ওই বাড়ির বাগানে গাছের সঙ্গে বিশেষ কায়দায় তৈরী করা মাদকের আখড়ার টং ঘরটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম খোন্তাকাটা গ্রামের মৃত রশিদ শিকদারের ছেলে ইলিয়াস শিকদার একজন চিহ্নিত মাদককারবারি। তিনি নিজ বাড়ির বাগানে গাছের সঙ্গে বিশেষ কায়দায় টংঘর তৈরী করে সেখানে বসে মাদকের কারবার করে আসছেন। এমনকি তার ওই আখড়ায় এসে দিনরাত মাদক সেবন করে বিভিন্ন এলাকার মাদকসেবীরা।
গোপন সুত্রে এই খবর জানতে পেরে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে আখড়া থেকে মাদক কারবারি ইলিসকে আটক করে। এসময় তার সহযোগীরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমন করে মাদককারবারি ইলিয়াসকে ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মাদকের আখড়ার টংঘরটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
ওসি ইকরাম হোসেন জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় রশিদ শিকদারের ছেলে মাদককারবারি ইলিয়াস শিকদার, স্ত্রী রূপালি বেগম, মেয়ে আঁখি আক্তার, ভাই ফারুক শিকদার, নাছির শিকদার এবং একই গ্রামের দুলাল শিকাদরের ছেলে মিজান শিকদার ও সালাম শরিফের ছেলে সাইফুল শরিফসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, ইলিয়াস দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবারের সঙ্গে জড়িত। তার বাড়িতে বসেই এই ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার আখড়ায় দিনরাত মাদকের আসর বসে। কিন্তু এই মাদক থেকে কোনোভাবেই ফেরানো যায়নি। তার কারনে ওই গ্রামে মানুষ অতিষ্ঠ।
পুলিশের ওপর হামলা করে মাদককারবারিকে ছিনিয়ে নিল সহযোগীরা, ২পুলিশ আহত
Leave a comment