
আটরা গিলাতলা প্রতিনিধি : ফেসবুকে পরিচয় পরে বন্ধুত্ব এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে খুলনা পলিটেকনিক কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী আড়ংঘাটা থানাধিন তেলিগাতী গ্রামের কিশোরী (১৭) ধর্ষণের আদালতে করা মামলার পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন গতকাল ভিকটিম, ভিকটিমের পরিবার, প্রতিবেশী এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় ভুক্তোভোগী পরিবার অভিযুক্তের পরিবার কর্তৃক মামলা তুলে নিতে এবং এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি প্রদানের বিষয়টি পিবিআইকে অবহিত করেন। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মো. হাফিজুরের ভাই মো. আব্দুর রহিম এর আইডি থেকে পাঠানো মেসেজে লেখা ছিল ‘‘তোর কপাল এ দু:খ আছে, সয্য করতে পারবি নাহ’’। এছাড়াও মামলার স্বাক্ষিদেরকে স্বাক্ষ না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বরগুনা পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল হাফিজুর(কনস্টেবল নং বিপি-৯৮১৮২১৮৪৮২) বিরুদ্ধে খুলনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে-২‘ এর আদালতে করা মামলার কার্যক্রম শুরু করেছে পিবিআই। ভিকটিম কিশোরীর মেডিকেল সম্পন্ন করার পর পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন গতকাল শনিবার সকালে ভিকটিমের তেলিগাতী বাড়ীতে আসেন। এ সময় তারা ভিকটিম, ভিকটিমের পরিবার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মামলার স্বাক্ষিদের সাথে কথা বলেন। পরে তারা ঘটনাস্থল বিলডাকাতিয়ার এরশাদের মাছের ঘেরের টোং ঘর পরিদর্শন করে সুত্রে জানাগেছে। এ সময় উপস্থিত সকলে পিবিআইকে ঘটনার বিবারণ তুলে ধরে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হাফিজুরের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেন। এলাকাবাসী জানায়, হাফিজুর বিরুদ্ধে মেয়েদেরকে প্রেমের ফাদে ফেলে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। আর তার এ সকল অপকর্মের অস্ত্র হিসাবে পুলিশের পেশাকে ব্যবহার করছে। যা এই মহান পেশাকে সে কুলসিত করছে। এলাকাবাসী বলেন, তার বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগের তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আগামীতে তার দ্বারা এ ধরণের অপকর্ম আরো বাড়তে থাকবে। এ ব্যপারে ঐ কিশোরী বলেন, আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার পক্ষে যারা স্বাক্ষ দিতে চায় তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সম্প্রতি আমার মোবাইলে হাফিজুরের ভাই আব্দুর রহিম একটি মেসেজ পাঠিয়েছে যাতে লেখা ছিল ‘‘তোর কপাল এ দু:খ আছে, সয্য করতে পারবি নাহ’’। তিনি বলেন, মামলা করে বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য দৌলতপুর থানাধিন কার্ত্তিককুল এলাকার কাশেম শেখের পুত্র বরগুনা পুলিশ লাইনের পুলিশ কনস্টেবল মো. হাফিজুরের বিরুদ্ধে খুলনা পলিটেকনিক কলেজের ততীয় বর্ষের ছাত্রী আড়ংঘাটা থানাধিন তেলিগাতী গ্রামের দরিদ্র পরিবারেরএক কিশোরী (১৭) ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে দুটি মামলা করেছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে এবং পুশিল প্রধানের কাছে করা অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম ও চলমান রয়েছে বলে জানাগেছে।