পূর্ব সুন্দরবনে দুই দিনে ১৫ জেলে আটক : ট্রলারসহ কীটনাশক জব্দ

শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস : পূর্ব সুন্দরবনে দুই দিনের ব্যবধানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় বনরক্ষীরা দুইটি ট্রলারসহ ১৫ জেলেকে আটক করেছে। এসময় তিনটি জাল ও ৫ বোতল কীটনাশক জব্দ করা হয়েছে। আটক জেলেদের মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সুন্দরবনে মাছ ধরায় তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে বনের শরণখোলা রেঞ্জের চরখালী এলাকার মগেরহোড়া খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় চরখালী ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদারের নেতৃত্বে বনরক্ষীরা একটি ট্রলারসহ এক জেলেকে আটক করে। এসময় ট্রলারে থাকা চার জেলে বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। বনরক্ষীরা ট্রলারে থাকা ৩ বোতল “রিপকর্ড” নামের কীটনাশক ও কিছু চিংড়ি মাছ জব্দ করেন। আটক জেলে আঃ রহিম (৪৬) পাথরঘাটার চরদুয়ানী গ্রামের আঃ লতিফের পুত্র।
অপরদিকে, সোমবার (২৬ জুন) বিকেলে সুন্দরবনের স্মার্ট টীমের সদস্যরা নিয়মিত টহলকালে দুবলারচরের মাঝের কিল্লা খালে কীটনাশক দিয়ে মাছধরারত অবস্থায় একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে আটক করে। এ সময় বনরক্ষীরা তিনটি মাছ ধরা জাল ও দুই বোতল কীটনাশক জব্দ করে। আটক জেলেরা হচ্ছে, শাহ আলম সরদার (৪৫), আলাউদ্দিন বাওয়ালী (৫০), সজীব হাওলাদার (৩৫), বিল্লাল মোল্লা (৩০), আ. হান্নান (৩৫), রুহুল আমিন শিকদার (৪০), আবুল বাশার (৪৮), বিল্লাল হাওলাদার (৩০), ছগির শিকদার (৪০), মাহাবুব হাওলাদার (৪৫), শাহাদত হাওলাদার (৩৫), জাহাঙ্গীর সরদার (৪০), আ. ছত্তার (৫০) ও কুদ্দুস হাওলাদার (৪০)।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান জানান, আটক জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে তাদেরকে মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সুন্দরবনে মৎস্য আহরণ ও পর্যটক প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে রেঞ্জ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।