শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস : পূর্ব সুন্দরবনে প্রতিদিনই মৃত হরিণ উদ্ধার হচ্ছে। শুক্রবার সকালে দুবলারচরের মাঝেরকেল্লায় আরো দুটি মৃত হরিণ পাওয়া যায়। এ নিয়ে গত ৪দিনে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ১১৩টি মৃত হরিণ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া ৪টি মৃত শুকর ও লোকালয় থেকে ১টি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। ঘূর্ণীঝড় রেমালের জলোচ্ছাসে এসব বণ্যপ্রাণী মারা যায় বলে বনবিভাগ জানায়।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের জেলেপল্লী দুবলা ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্ট রেঞ্জার মোঃ খলিলুর রহমান শুক্রবার বিকেলে মোবাইল ফোনে বলেন, শুক্রবার সকালে দুবলার মাঝেরকেল্লায় বনে তল্লাশী করে দুটি মৃত হরিণ পাওয়া যায়। জলোচ্ছাসে বনের অনেক হরিণ ভেসে ও মারা যেতে পারে বলে তার ধারণা। তিনি বলেন, ঘূর্ণীঝড়ে অনেক পাখী মারা পড়েছে। আগে যেমন পাখী দেখা যেতো ঝড়ের পরে আর তেমন পাখী চেখে পড়ছেনা বলে ঐ কর্মকর্তা জানান।
সুন্দরবনের ধানসাগর ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, জলোচ্ছাসে সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে ভেসে আসা বিরাট এক অজগর বৃহস্পতিবার বিকেলে শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বনবিভাগের খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ঘূর্ণীঝড় রেমালের পরে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্নস্থানে ১১৩টি মরা হরিণ পাওয়া যায়। ঘূর্ণীঝড়ের জলোচ্ছাসে সুন্দরবনের বণ্যপ্রাণীর অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে সিএফ জানিয়েছেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত