
শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের খুচরা বাজারে নিত্যণ্যের দামে বড় পরিবর্তন দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজের দামে। নিত্যপণ্যটির দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ৮০ টাকার পেঁয়াজ ক্রেতাদের এখন কিনতে হচ্ছে কেজি প্রতি ১২০ টাকা দরে। অন্যদিকে,ওদিকে বাজারে কিছুটা নিম্নমুখী রয়েছে চালের দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায়, জিরা, পাইজাম, গুটি স্বর্ণাসহ কয়েক ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ১ থেকে ২ টাকা কমেছে। চালের দাম এর আগের সপ্তাহেও ১ টাকা করে কমেছিল। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। শম্পা কাটারি, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকা কেজি। এছাড়া জিরাশাইল, জিরা নাজির, মিনিকেটসহ বিভিন্ন জাতের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৬ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন,এই চালগুলোর দাম গত এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি ১ থেকে ২ টাকা কমেছে। তবে মোটা ধরনের বিআর ২৮ চালের দাম স্থির রয়েছে আগের মতোই কেজিপ্রতি ৫৮-৬০ টাকায়। অন্যদিকে পাইজাম, গুটি স্বর্ণা ও কিছু মোটা জাতের চালের দামও কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৬ টাকায়। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ৫২-৫৩ টাকা দরে। মুরগির বাজারেও দেখা গেছে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা, বিশেষ করে দেশি মুরগির দামে। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭০-১৮০ টাকায়, লাল লেয়ার ৩০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজিতে। দেশি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, দেশি মুরগির দাম এতটাই বেড়েছে যে বাধ্য হয়ে তাঁদের ব্রয়লার মুরগির দিকেই ঝুঁকতে হচ্ছে। তবে ডিম ও মাছের দামের কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম ডজন ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪২০ টাকা, মাঝারি রুই ৩০০-৩২০ টাকা ও ছোট রুই ২৫০- ২৮০ টাকা কেজি দরে। কাতল মাছের দাম ৩৮০-৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০- ২৩০ টাকা, এবং তেলাপিয়া ১৫০- ২২০ টাকা, সিলভারকার্প মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, কালবাউশ মাছ ৪৫০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত