
চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও মান ভালো না হওয়ায় খুচরা বাজারে সেগুলোর চাহিদা কম।
খুচরা বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। এ সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা ‘আগের কেনা’-এ কথা বলে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন দেশি পেঁয়াজ। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রথম দফায় আমদানিকৃত পেঁয়াজের মান ভালো ছিল না; এখন যে পেঁয়াজ আসছে সেগুলোর মান ভালো।
গত কয়েক বছরে দেশে উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও সংরক্ষণের আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে। সারাদেশে সংরক্ষণের এমন আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যাতে প্রান্তিক পর্যায়ের পেঁয়াজচাষিরাও উপকৃত হন। এদিকে আদা নিয়েও চলছে বড় ধরনের কারসাজি। যে আদার কেজিপ্রতি আমদানি মূল্য ১২৯-১৩০ টাকা, তা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
কয়েকদিন আগে আদার মূল্য নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিলেও ভোক্তারা এর কোনো সুফল পাচ্ছেন না। জিরাসহ বিভিন্ন মসলার দামও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। অতীতে ঈদুল আজহার আগে বাজারে সব ধরনের মসলার দাম দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। এবার যেন তেমনটি না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে চিনি নিয়ে সংকট কাটছেই না।
বাজার থেকে অনেক দিন আগেই আখের চিনি উধাও হয়ে গেছে। এ কারণে ভোক্তাদের বাধ্য হয়ে আমদানিকৃত চিনি ক্রয় করতে হচ্ছে। চিনি নিয়ে নানা রকমের কারসাজি চলমান থাকা সত্ত্বেও কারা কারসাজি করছে তা চিহ্নিত করতে কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতাই লক্ষ করা যায় না।
জীবনযাত্রায় বাড়তি ব্যয়ের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষ। দুঃখজনক হলো, সরকারের পক্ষ থেকে পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয় না। পণ্য ও সেবার দাম যাতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেজন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজার তদারকি সংস্থাগুলোর দুর্বলতার কারণেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বেপরোয়া মুনাফা করার সুযোগ পায়। অভিযোগ রয়েছে, বাজার পর্যবেক্ষণে জড়িত অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের যোগসাজশের কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। কাজেই সরষের ভেতরের ভূত তাড়াতে হবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের তৎপরতা বন্ধেও নিতে হবে যথাযথ পদক্ষেপ।