পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচলেট
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচলেট, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক এনগোজি ওকনজো-আইওয়ালা ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গাই রাইডারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় তিন সংস্থার প্রধানের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে ড. মোমেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সমর্থন দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বের ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে তিনি এ সমস্যার টেকসই সমাধানে মিয়ানমার, ইউএনসিএইচআরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা জানান।
অন্যদিকে ডব্লিউটিওর মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে মোমেন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি গ্র্যাজুয়েশনের পর ডব্লিউটিওর নিয়ম এবং এলডিসির বিধানের অধীনে নমনীয়তা এবং ছাড় অব্যাহত রাখারও আহ্বানও জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের যোগ্য হয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মোমেন।
এছাড়া জেনেভায় আইএলওর মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে ড. মোমেন তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রমিকের বন্ধু আখ্যা দেন এবং করোনাকালে তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। মোমেন আইএলওর মহাপরিচালককে জানান, করোনার সময়ে বাংলাদেশে কোনো গার্মেন্টস কারখানার কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়নি।