
শেখ আব্দুল হামিদ : দীর্ঘ পাঁচ বছর পর খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে তরুণ নেতাদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দের শেষ নেই। তারা সার্কিট হাউজের জনসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে দিন রাত পরিশ্রম করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি খুলনাবাসীর আন্তরিকতার প্রতিফলন ঘটাতে তাদের প্রচেষ্টার শেষ নেই। গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে বিভাগীয় শহর খুলনায় এখন শুধু সাজসাজ রব। নেতাকর্মীদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে খুলনার আকাশ-বাতাশ। জেলা উপজেলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত প্রস্তুতির শেষ নেই। বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত প্যানা, ফেস্টুন, ব্যানার আর সুবৃদ তোরণ শোভাপাচ্ছে।
॥ খালিশপুর-দৌলতপুর ॥
এ প্রসঙ্গে খুলনার খালিশপু দৌলতপুর এলাকর তরুণ নেতা শিল্পপতি বাদল আহম্মেদ জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যার দুরদর্শিতায় গোটা দেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ দক্ষতা ও আন্তরিকতার অভাবে খুলনার শিল্পাঞ্চল পিছিয়ে পড়ছে। শেখ হাসিনার খুলনায় আগমনে এ অঞ্চলের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। তাদের বিশ^াস যোগ্য প্রতিনিধি পেলে উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হবে খুলনার শিল্পাঞ্চল। বাদল জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় তার নেতৃত্বে খুলনার শিল্পাঞ্চল থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবেন। খুলনার শিল্পাঞ্চল মানুষ অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যার অগমনের জন্য। শেখ হাসিনাকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। আমাদের স্বপ্ন শুধু শিল্পাঞ্চলে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা নয়, নতুন আঙ্গিকে মাথা তুলে দাঁড়াবে খলনার শিল্পাঞ্চাল। তাই বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক এখন বর্ণিল সাজে সজ্জ্বিত।
॥ বটিয়াঘাটা-দাকোপ ॥
খুলনার তরুণ নেতা বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান দীর্ঘ দু’মাস আগে থেকেই শুরু করেছেন তার প্রস্তুতি। প্রধানামন্ত্রীর জনসমাবেসে তার উপজেলা থেকে প্রায় ৬০ হাজার নেতাকর্মী হাজীর করার দৃঢ় প্রত্যয় হাতে নিয়েছেন। তিনি চলাচলের সুবিধার জন্য সাড়ে পাঁচ হাজার বাস-ট্রাক প্রস্তুত রেখেছেন। তাছাড়া নদীপথে যাতায়াতের জন্য দু’শতাধিক লঞ্চ-ট্রলার থাকছে। খুলনা-১ আসন থেকে তরুণ এই নেতা গণমানুষের ভালোবাসা নিয়ে আগামীতে সর্বোচ্চ সেবা দিতে নিজেকে নিবেদিত রাখতে প্রস্তুত রয়েছেন।
আশরাফুল আলম খান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় আসছেন। তাই খুলনাসহ বটিয়াঘাটা-দাকোপের মানুষের মাঝে আনন্দ-উচ্ছাস আর উৎসাহ উদ্দীপনার ঢল নেমেছে। আমরা সর্বোচ্চ উপস্থিতি দিয়ে প্রাণ ঢালা অভিনন্দন জানাতে চাই। দাকোপ-বটিয়াঘাটা থেকে শুরু করে খুলনার প্রবেশ দ্বার পর্যন্ত অপরূপ সাজে সজ্জ্বিত হয়ে উঠেছে।
॥ রূপসা-কয়রা ॥
বিষয়টি নিয়ে খুলনার তরুণ নেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল বলেন, খুলনার মনুষের মাঝে যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে এসেছে। খুলনার যেদিকে তাকানো হোক বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাতের ছোঁয়া সর্বত্র লেগে আছে। খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা মোংলা রেল লাইন, রূপসাব্রিজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কসহ অসংখ্য উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ৩ মার্চ তিনি খুলনায় ৯৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করে ছিলেন। এবার তিনি আরও ২৪টি প্রকল্পের উপহার দিবেন। খুলনার কথা সব সময়ই তার স্মরণে গাঁথা আছে। তাই না চাইলেও খুলনার মানুষ অনেক কিছুই পেয়ে যায়। তরুণ এই নেতা আরও বলেন, রূপসা দিঘলিয়া তেরখাদা ও পাইকগাছ কয়রার মানুষের সাথে আমি কথা বলেছি। সেখান থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ স্থলে আসতে প্রস্তুতি নিয়েছেন। সোমবারের জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। সর্বত্রই এখন সাজসাজ রব। এছাড়া ডুমুরিয়া ফুলতলা এলাকা থেকেই লক্ষাধিক মানুষের আগমন ঘটবে।

