কয়রা প্রতিনিধি : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সারা বিশ্বের রোল মডেল। বিগত বছরের ঘূর্ণিঝড় সহ সকল দুর্যোগে বঙ্গবন্ধু কন্যার নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনায় আমরা যথা সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে মানুষের দুর্দশা লাঘব এবং জান ও মালের ক্ষতি কমাতে সক্ষম হয়েছি। ২৯ মে বুধবার বেলা ১১ টায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে খুলনার কয়রা উপজেলার কপতাক্ষ ডিগ্রী কলেজ চত্বরে দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুর্যোগ মোকাবেলায়ও আমরা সাহায্য করি। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন আপনি সাতক্ষীরা খুলনা বাগেরহাট দেখে আসবেন এবং কয়রা পাইকগাছাকে নিজের এলাকা মনে করে সেখানে নামবেন এবং মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনবেন উনি আমাকে আরো বলেছেন যা আপনাদের ক্ষতি হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একনেকে মিটিংয়ে আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমি যাবার আগে তুমি দুর্যোগ এলাকার সমস্ত মানুষের কাছে যাবা এবং সেখানকার মানুষের কাছে আমার সালাম পৌঁছে দিবা। যা আপনাদের ক্ষতি হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমস্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তার কাছে দাখিল করার জন্য। আগামীতে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে যে মিটিং হবে সব মন্ত্রণালয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আপনাদের সব সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন যত দ্রুত সম্ভব পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলি সংস্কার করা হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলাদেশ এনে দিয়েছেন,পতাকা দিয়েছেন,একটি মানচিত্র দিয়েছেন,কিন্ত ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট একদল কুচক্রী মহলের নীল নকশা বাস্তবায়নের কারণে তিনি আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেন নাই। আজকে তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা ক্ষুধা মুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ কায়েমের জন্য জীবনকে বাজি রেখে দিন রাত কাজ করে চলেছেন।তিনি শুধু আজ বাংলাদেশের নেত্রী নয় সমস্ত বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষের মুখপাত্র তিনি বাংলাদেশের অহংকার তারই নেতৃত্বে আমরা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে চলেছি । বক্তৃতা শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তিনি দুর্গাত মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সফর সঙ্গী ছিলেন ভোলা ৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় খুলনা ৬ (কয়রা পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্গত প্রবণ আমার কয়রা এলাকায় টেকসই বেড়ীবাধ নির্মাণে যে ১১০০ কোটি টাকা বরাদ্দকৃত বাজেটের ৩০০ কোটি টাকার কাজ চলমান আছে কিন্তু সেটার গতি অনেক ধীর,আমরা প্রতিবছর মাটির বাঁধ নির্মাণে টাকা নষ্ট না করে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আমার আবেদন টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে বাঁধের দুই পাশে কংক্রিটের গাঁথুনি করে মাঝখান দিয়ে যদি আমরা ভেড়িবাধ তৈরি করি প্রকৃতপক্ষে সেটিই হবে আমাদের টেকসই ভেড়ীবাঁধ।এই কংক্রিটির টেকসই বেরিবাধ আমরা যদি একবারে নাও করতে পারি প্রতি বছরে অন্তত ৫-১০ কিলোমিটার ও যদি করতে পারি সেটিই হবে টেকসই বেড়ীবাঁধ,তাহলে সেটা আমাদের আর সংস্কারের প্রয়োজন হবে না বারবার আমাদের টাকা অপচয় হবে না,মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আমাদের এই দাবিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে বলে যেকোনো ভাবে কয়রা এলাকায় কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করার জোর দাবি করেন। তিনি, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে কয়রা পাইকগাছার যে সব রাস্তাঘাট ঘরবাড়ী,ভেড়ীবাধ ভেঙে গিয়েছে তা দ্রুত সংস্কারসহ সর্বোপরি বিশুদ্ধ পানির সমস্যা সমাধানে কয়রা পাইকগাছায় প্রতিটি পরিবারে পানির ট্যাংকি স্থাপনের দাবি করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম তরিক উজ-জামানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রির সঞ্চালনায় ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এনডিসি মোঃ কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান (পিপিএম)।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশ্বের রোল মডেল: ত্রান প্রতিমন্ত্রী
Leave a comment