প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার খুলনায় আসছেন। দুপুর ৩টায় খুলনার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি। এর আগে খুলনা জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সেজেছে বর্ণিল সাজে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মহাসমাবেশের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯টি মেঘা প্রকল্প খুলনাবাসীকে উপহার দেবেন। এরমধ্যে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ২৪টি প্রকল্প এবং ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ৫টি প্রস্তাবিত প্রকল্প রয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাওয়া উন্নয়ন প্রকল্প কাটছাট করে ২৯ প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হয়। এগুলোর সব কয়টি অনুমোদন হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনাকে নিজের সেকেন্ড হোম বলে থাকেন। খুলনার প্রতি রয়েছে তার বিশেষ দৃষ্টি। খুলনা মহানগরী সংলগ্ন দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন রয়েছে। একমাত্র চাচা বাড়ি শেখ আবু নাসেরের বাড়ি খুলনায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বারবার খুলনা এসেছেন তার ভাইয়ের বাড়িতে।
সেকারণেই খুলনা ও খুলনার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে হয়েছে। একসময়ের চরমপন্থীদের অভায়রণ্য খুলনা সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছে আজকের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পরে খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, ক্যান্সার হাসপাতাল, কৃষি কলেজ, ডেন্টাল হাসপাতাল, ফোর লেন সড়ক, কৃষি বিশ^বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে রূপসা সেতু, মৃত খুলনা শিপইয়ার্ড চালু করেন। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরে মোংলা বন্দর চালু প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তের ফল। পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও মোংলা বন্দর চালুর ফলে খুলেছে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্যের সম্ভাবনার দুয়ার। যা আগামীতে দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আজকের খুলনার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন কোন ঘোষণা দেবেন এমনটা প্রত্যাশা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের।