জন্মভূমি রিপোর্ট
‘পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তির সহনশীলতা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে আজ (শনিবার) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র বলেন, প্রবীণরা হলো সমাজের মুকুট। অবহেলা নয়, প্রবীণদের সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করতে হবে। প্রবীণরা সমাজে সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। আজকে যারা প্রবীণ বিগত দিনে তারা ছিলেন নবীন। তাদের নিরাপদ ও মর্যাদার জীবন নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে। প্রবীণদের সুরক্ষায় ‘পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবীণদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রবীণ ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে বয়স্ক ভাতা চালু করেন। দেশের আটটি বিভাগে সরকারিভাবে আটটি প্রবীণ নিবাস নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে সিটি মেয়র জানান।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহমান, কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ সাজিদ আহমদ এবং জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহমদ। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবিরসহ প্রবীণ ব্যক্তিরা বক্তৃতা করেন। খুলনা জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠান শেষে প্রবীণদের মাঝে লাঠি বিতরণ এবং সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে খুলনা জেলার ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ১০জন রোগীর মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।