ফকিরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাট সাতশৈয়া হাজি আব্দুল হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল দর্জি (১৫)। এই বয়সে তার সহপাঠীদের সাথে স্কুলে যাওয়া, খেলাধুলা আর ঘুরে বেড়ানোর কথা। কিন্তু তার বেশিরভাগ সময় কাটছে দু:শ্চিন্তায়। প্রাণচঞ্চল ওই স্কুল ছাত্রের দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে। উন্নত চিকিৎসা সুবিধা পেলে হয়তো তার চোখ দুটি ভাল হতে পারে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্কুল ছাত্র নাজমুলের ৫/৬বছর বয়স থেকে চোখে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সেই সমস্যা গত ৬ মাস পূর্বে আরো বেড়ে গেছে। চোখের সমস্যার কারনে তার পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার পথে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ডাক্তারের নিকট থেকে চিকিৎসা করানো হয়েছে। কোন উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে ঢাকা দ্বীন মোহম্মদ আই হসপিটাল এন্ড রিসার্স সেন্টারে তার চোখ দেখানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার দুটি চোখ অপারেশন করলে হয়তো ভাল হয়ে যাবে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার অভাবে সঠিক চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে এখন সর্বস্বান্ত দরিদ্র পরিবার। নাজমুল দর্জি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার জাড়িয়া গ্রামের রাজমিস্ত্রী মো. নাজিম দর্জির ছেলে। নিজস্ব জমাজমি না থাকায় ওই পরিবার র্দীঘদিন যাবৎ একটি বাড়িতে ভাড়া বসবস করে আসছেন। নাজমুল দর্জির মাতা বিউটি বেগম বলেন, অর্থের অভাবে দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা এখন বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। তার চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পরিবার। ইতিমধ্যে অনেক টাকা চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে। তাই দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার চোখের দৃষ্টি আগের মত রাখতে হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার দরকার। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকা ব্যয় হবে। এমনিতেই দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা চালাতে গিয়ে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন পরিবারটি। অন্যের কাছে ধারদেনা করে কোনও রকম তার চোখের চিকিৎসা সচল রেখেছেন। এখন অর্থ সঙ্কটে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সমাজের দানশীল ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুতি জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি। নাজমুল দর্জির সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-চলতি ব্যাংক হিসাব নম্বর-১১১৮-১৮৮০০০০, মধুমতি ডিজিটাল ব্যাংকিং, ফকিরহাট ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বাগেরহাট। স্কুল ছাত্রের মা বিউটি বেগম-০১৭২৬৭৪৩৪১৭ এই নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে দরিদ্র ও অসহায় পরিবারটি।