ফকিরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাটে উচ্চ ফলনশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ গম গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি-৩৩ জাতের গমের চাষ করেছে কৃষকরা। চাষিদের আশা অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার গমের বাম্পার ফলন হবে। ছাড়িয়ে যাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গমের সবুজ পাতার সমারোহ মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে। কিছু গমের শীষ (ছড়া) বের হয়েছে ইতোমধ্যে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে গমে শীষে ভরে উঠবে ফসলের মাঠ। ব্লাস্ট রোগের কারণে ফকিরহাটে গম চাষ ছেড়েই দিয়েছিল কৃষকেরা। কিন্তু কৃষি বিভাগের উদ্যোগে আবার তারা গম চাষে ফিরে এসেছেন। চাষিরা কৃষি অফিস থেকে ব্লাস্ট প্রতিরোধী গমের বীজ ও সার পেয়ে গম চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বলে জানান।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফকিরহাটের ৮ ইউনিয়নে ৩৫ হেক্টর জমিতে ৮০ জন কৃষক গম চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে ১৭৫ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের সম্ভব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে উৎপাদনের পরিমান ২০০ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে আশা কৃষি বিভাগের। উপজেলার ৪০ জন চাষিকে ৮০০ কেজি উচ্চ ফলনশীল বারি-৩৩ জাতের গমের বীজ, ৪০০ কেজি ডিএমপি ও ৪০০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। বাকী ৪০ জনকে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বীজ, সার, কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রদান করা হয়েছে।
রহমান শেখ, শাজাহান সেখ, সোমা বেগমসহ কয়েকজন কৃষক জানান, বেশি শীত ও কুয়াশা কম থাকায় অনুকূল পরিবেশ পেয়ে গমগাছ (গোছা) বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে। সব ঠিক থাকলে ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে তারা জানান।
উপজেলার আট্টাকা গ্রামের চাষি জাহাঙ্গীল আলম জানান, তিনি এক একর জমিতে কৃষি বিভাগের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল বারি-৩৩ জাতের গমের প্রদর্শনী প্লট করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে খেত পরিচর্যা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ফকিরহাটে এ মৌসুমে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও তাপ সহনশীল বারি-৩৩ জাতের গম চাষ হয়েছে। এই জাতটি জিংক সমৃদ্ধ তাই এটি চাষাবাদে মানবদেহে জিংকের অভাব পূরণ হবে। জাতটি উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় কৃষকের আগ্রহও বাড়ছে। চাষকৃত জমিতে চলতি মৌসুমে গমে রোগবালাই তেমন হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত