
মান্না দে, ফকিরহাট : পবিত্র ঈদুল আজহা আসন্ন। ইতোমধ্যে বাগেরহাটের ফকিরহাটে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুরহাট। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদ-বৃষ্টির মধ্যেই পশু বেচাকেনা চলছে হাটে।
বাগেরহাটের সবচেয়ে বড় ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা পশুরহাট। এ পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি দেখা গেছে চোখে পড়ার মত। হাটে বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী বলে বিক্রেতারা জানান। বেতাগা পশুরহাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখানে প্রতি শুক্রবার ও সোমবার পশুরহাট বসে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে হাটের দিন ভোররাত থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পশু আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হাটে বাড়তে থাকে পশুর সরবরাহ। হাটে বিভিন্ন জাতের গরুর পাশাপাশি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, অন্যন্য বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশি। তবে বিক্রেতাদের দাবি, গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারনে পশু পালনে খরচ বেড়েছে। ফলে হাটে যে দাম উঠছে, তাতে লোকসানের শঙ্কা করছেন তারা।
গরু কিনতে আসা প্রভাষক শেখ নজরুল ইসলাম জানান, হাটে গরুর সরবরাহ ভালো। তিনি কোরবানির জন্য একটা গরু কিনতে এসেছেন এই হাটে। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি বলে জানান তিনি।
গরু বিক্রি করতে আসা ব্যাপারী মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি ৮টি গরু এনেছেন এই হাটে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি ৩টি গরু বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন বড় গরুর থেকে ছোট ও মাঝরি গরুর চাহিদা বেশী।
খামারী আতিকুল ইসলাম জানান, তিনি কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য ১৬টি গরু প্রস্তত রেখেছেন। গরুগুলো খামার থেকে বিক্রি হলে তিনি পশুরহাটে উঠাবেন না।
এদিকে গরু বিক্রি করতে আসা রইচ শিকদার তিনি বেতাগা পশুরহাটে ১১টি গরু নিয়ে আসেন। ক্রেতারা পছন্দমত দাম না বলায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটা গরুও বিক্রি করতে পারেননি। তবে ভাল দাম পেলে এই হাটে গরুগুলো বিক্রি করে যাবেন।
বেতাগা পশুরহাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনন্দ দাশ বলেন, শুক্রবার বেতাগা পশুরহাটে প্রায় ১৫হাজার পশু এসেছে। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি এখানে ভলেন্টিয়ার টিম রয়েছে। হাটে গরুর আমদানি খুব ভাল। তিনি বলেন, জাল টাকা পরীক্ষা করার জন্য এখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কোরবানীর পশুর হাটে গবাদি পশু স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বলেন, অত্র উপজেলায় এবার কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার পশু। প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার। উপজেলায় খামারী রয়েছে ১হাজার। তিনি আরো বলেন ফকিরহাট উপজেলার স্থায়ী বেতাগা পশুরহাটে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ হতে গবাদি পশু স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।