ফকিরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাটে মহাষ্টমী তিথিতে পূজামন্ডপগুলোতে নানা উপকরণ দিয়ে মা দুর্গাকে পূজা আর আরাধোনা করা হয়। পূস্পাঞ্জলী দিতে সকাল থেকে পূজামন্ডপগুলোতে ভক্তদের ভিড় দেখা গেছে। মঙ্গলবার সকালে মানসা কালী মন্দিরের দুর্গাপূজা মন্ডপসহ বিভিন্ন মন্ডপে শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের অসংখ্য ভক্তকূল ফুল-বেলপাতা হাতে নিয়ে মা দুর্গার পায়ে অঞ্জলী প্রদান করেন। ঢাকের বাজনা, শঙ্ক আর উলুধ্বনীতে মুখোরিত হয়ে উঠে পূজামন্ডপগুলো। চন্ডিপাঠ আর পূজারমন্ত্র ধ্বনীত হচ্ছে মন্ডপগুলোতে। মহাষ্টমী আর সন্দিপূজা শেষ মহানবমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অঞ্জলী দিতে আসা কয়েকজন ভক্ত জানান, মা দুর্গার পায়ে পুস্পাঞ্জলী দিতে পারলে মা দুর্গা তাদের মনেবাসনা পূণ্য করবে। পুস্পাঞ্জলী শেষে মা দুর্গার কাছে তাঁরা সব ধরণের অশুভ শক্তি বিনাশ করে দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনা করেছে। সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবীদুর্গা। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গার আরাধনা পুজোই হলো সন্ধিপূজা। মূলত দেবী চামুন্ডার পূজা করা হয় এ সময়। এ সময়েই দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর, আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে। নবমীর দিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, পরের দিন কেবলমাত্র বিসর্জনের পর্ব। বিজয়া দশমীর দিন বৃহন্পতিবার বিকাল থেকে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব সমাপ্তি ঘটবে। আজ বুধবার মহানবমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত