ফকিরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক প্রসবে দৃষ্টান্ত স্থাপন। গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারি (স্বাভাবিক প্রসব) করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফরা। এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চার ঘন্টায় ৫জন গর্ভবতী প্রসূতির নরমাল (স্বাভাবিক) ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি এদিন ৫জন গর্ভবতী প্রসূতির সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করা হয়েছে। একইদিন ৫জন সিজার ও ৫জন গর্ভবতী প্রসূতির নরমাল (স্বাভাবিক) ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে গত দুইদিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মোট ৯টি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে।
গত সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টার পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরপর ৫জন প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি করানো হয়। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ নার্সদের সহায়তায় এসব নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। মা ও নবজাতকরা সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ নার্সরা জানান, গর্ভবতী ওই ৫ নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পর তারা নানা ভাবে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এরপর কিছু কলাকৌশল এবং ব্যায়াম করানো হয়। প্রকৃত প্রসব বেদনা উঠার পর নরমাল ডেলিভারি করানো হয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাদাত মো. মফিদুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ নার্সদের সহায়তায় মাত্র চার ঘণ্টায় ৫জন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি করানো হয়েছে। ওই ৫জন নারী গর্ভধারণের প্রথম থেকেই তাদের চিকিৎসকদের পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। প্রসব বেদনা শুরুর সাথে সাথে তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। প্রশিক্ষিত নার্স ও মিডওয়াইফ নার্সরা দক্ষতার সাথে ৫জন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি করেছেন। এখন মা ও নবজাতকরা সবাই সুস্থ রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি মায়েদের চারবার চেকআপ করানো হয়। প্রথম চেক এর ২৪ ঘণ্টা পর, দ্বিতীয় চেক আপ তিনদিন পর, তৃতীয় চেক আপ সাতদিন পর এবং চতুর্থ চেকআপ ৪২দিন পর। প্রথম চেকআপ শেষে ওই প্রসূতি মায়েদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে।
গর্ভবতী মায়েদের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন সিজারিয়ান না নরমাল ডেলিভারি করাতে হবে উল্লেখ তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে গর্ভবর্তী মায়েরা নরমাল ডেলিভারি না করে সিজারিয়ানের দিকে বেশি ঝুঁকেন। অনেক সময় কতিপয় চিকিৎসক এবং কিছু বেসরকারি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিনা প্রয়োজনে ওই গর্ভবতী মায়েদের সিজারিয়ানে উৎসাহিত করেন। কতিপয় চিকিৎসকরা নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অনেক ক্ষেত্রে বিনা প্রয়োজনে সিজারিয়ানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতা বিরোধী।
ফকিরহাট হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবে দৃষ্টান্ত স্থাপন
Leave a comment