ক্রীড়া প্রতিবেদক : পর্তুগালে ‘ওমেনস কাপ’ প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে বেনফিকা-স্পোর্টিং লিসবন ম্যাচে সাদা কার্ড প্রদর্শন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন রেফারি কাতারিনা ব্রাঙ্কো। সম্প্রতি পর্তুগালের এস্তাদিও লুইজ স্টেডিয়ামে খেলা চলাকালীন সময়ে ডাগ আউটে এক খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়লে রেফারি কাতারিনা ব্রাঙ্কো দুই দলের মেডিকেল টিমকে এই সাদা কার্ড দেখান।
প্রশ্ন হলো, সাদা কার্ড কেন এবং এই কার্ড দেখানোর কী অর্থ? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, ম্যাচে আধঘণ্টার একটু আগে এই কার্ড দেখান রেফারি। মূলত ম্যাচে ‘ফেয়ার প্লে’ মানসিকতাকে আরও ভালোভাবে স্বীকৃতি দিতেই এই কার্ডের প্রচলন।
তবে ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, সাদা কার্ড দেখানোর আক্ষরিক উদ্দেশ্য ও ফল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে ‘ফেয়ার প্লে’ এবং খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতাকে প্রাধান্য দিতেই এই কার্ড ব্যবহার করা হবে।
বেনফিকা-স্পোর্টিং লিসবন ম্যাচে যেমন কোনো খেলোয়াড় কিংবা কোচিং স্টাফকে সাদা কার্ড দেখানো হয়নি। এক খেলোয়াড় ডাগ আউটে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিকেল টিম তৎক্ষণাৎ সেই খেলোয়াড়কে চিকিৎসা দেন। দুই দলের মেডিকেল টিমই এই কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
রেফারি কাতারিনা ব্রাঙ্কো তখন দুই দলের মেডিকেল টিমকেই সাদা কার্ড দেখান। ইতিবাচক উদ্দেশ্যে রেফারির এই সাদা কার্ড দেখানোকে এস্তাদিও লুইজ স্টেডিয়ামের দর্শক ভালোভাবেই নিয়েছেন। করতালির বৃষ্টি ঝরেছে এস্তাদিও লুইজে।
এএস জানিয়েছে, সাদা কার্ড ব্যবহার করে ‘খেলার নৈতিক উন্নয়ন করা’ই লক্ষ্য। ১৯৭০ বিশ্বকাপ থেকে এ পর্যন্ত ফুটবলে শুধু হলুদ ও লাল কার্ডই ব্যবহার করা হয়েছে। হলুদ কার্ড খেলোয়াড়কে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য আর লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
মাঠে খেলোয়াড়েরা যেন খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় নৈতিকতা সমুন্নত রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তা নিশ্চিত করতেই পর্তুগাল সবার আগে সাদা কার্ডের প্রচলন করল। ইউরোপের অন্যান্য বড় লিগে এই কার্ডের প্রচলন ঘটে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।