জন্মভূমি রিপোর্ট : গত ১৭ দিনেও ফুলতলা উপজেলার আলকা গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে খুন হওয়া ব্যবসায়ী মো: মিলন ফকির হত্যা মামলার কুল-কিনারা হয়নি। একজন সন্দেহভাজন আসামি গ্রেফতার হলেও তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি মেলেনি। উদ্ধার হয়নি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। যদিও পুলিশ বলছে- আসামি হাবিবের কাছ থেকে ঘটনা সংশ্লিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই চলছে।
গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮ টার দিকে আলকা আইডিয়াল স্কুল মোড়ে মিলন ফকির (৪৮) কে ঘাতকরা গুলি করে হত্যা করে। স্থানীয় একটি দোকানের মধ্য হতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। মরদেহের মাথা, পেট, বুক এবং হাতে বুলেট বিদ্ধ হওয়ার ছয়টি ক্ষত ছিল। তিনি জমির ব্যবসা এবং প্রবাসে শ্রমিক পাঠানোর কারবারে যুক্ত ছিলেন। আততায়ীদের মূহুর্মূহু গুলির শব্দে স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক শিতল (৪৫) লুকানোর চেষ্টাকালে উরুতে বুলেট বিদ্ধ হয়ে জখম হন। তিনি চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফিরেছেন। এ খুন-জখমের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগম অজ্ঞাত তিন জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সূত্রমতে, ঘটনার পর র্যাব-৬ এর একটি টিম ডুমুরিয়ার শাহাপুর এলাকা হতে হাবিব মোল্লা (৪৯) নামে একজন সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারটি গুলির খোসা এবং মরদেহের মাথায় বিদ্ধ থাকা দুইটি বুলেটের অংশ বিশেষ আলামত হিসেবে জব্দ করে। যেগুলো পিস্তলের বলে ধারণা করা হলেও কোন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্রের তা নিশ্চিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যালেস্টিক পরীক্ষার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা-ডিবি’র ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নিজাম উদ্দীন দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, আসামি হাবিবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা সংশ্লিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেলেও স্বীকারোক্তি মেলেনি। তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। প্রয়োজনে তাকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।
তিনি বলেন, অকুস্থল হতে সংগ্রহ করা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে একটি মোটর সাইকেলে দুই জনকে মুখ বাধা অবস্থায় চলে যেতে দেখা গেছে। তবে, ফুটেজ অস্পষ্ট। যেখানে শ্যুটারের গুলি করার দৃশ্য ধরা পড়েনি। ইতিমধ্যে দুই জন সাক্ষীর জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কোন মোটিভকে সামনে রেখে তদন্ত কাজ চালাচ্ছেন? তদন্তের স্বার্থে (আইও) এ প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারসহ তাদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।