যশোর প্রতিনিধি : ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে গদখালির প্রকৃতি। লাল-নীল-হলুদ ও বেগুনি নানান ফুলের সমাহার। চারিদিকে শুধু ফুলের সুগন্ধ। কেউ সেলফি তোলায় ব্যস্ত, কেউ প্রিয়জনের সঙ্গে কাটাচ্ছেন জীবনের সেরা সময়। কেউ বা পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে এসেছেন ছুটির দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে। বর্ণিল ফুলের সাজে তরুণ-তরুণীদের দেখে বোঝার বাকি নেই চলছে ফুল উৎসব। ফুল পিপাসুদের জন্য ফুলের রাজ্য যশোরের গদখালীতে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ছুটির দিনে উৎসবে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। প্রিয়জন সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে আসা যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকার শিরিনা সুলতানা বলেন, অনেকদিন ধরেই গদখালীতে আসার ইচ্ছা ছিল। ফুল উৎসবের আয়োজন শুনেই চলে আসলাম। এ ধরনের ব্যতিক্রমী উৎসবে আসতে পাারা সত্যিই অস্বাধারণ অনুভূতির। ঝিনাইদহ থেকে আসা তরিকুল ইসলাম জানান, ফুল উৎসবের কথা জানতে পেরে দেখতে আসলাম। এসে খুবই ভালো লেগেছে। ঝিকরগাছার বাবলু মিয়া বলেন, সন্তানদের ফুলের সঙ্গে পরিচিত করতে নিয়ে এসেছি। তবে ফুলের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তার। ফুল বিক্রেতা রিফাত হোসেন বলেন, গোলাপ প্রতি পিস ৫ টাকা, কভারসহ ১০ টাকা, গ্লাডিওলাস কালার ভেদে ১০-১৫ টাকা, রজনীগন্ধ্যা ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাথার ব্যান্ড বিক্রেতা আমিনুর রহমান জানান, প্রতিপিস ব্যান্ড ৫০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ফুল উৎসবে আমরা যে পরিমাণ মানুষের সমাগমের আশা করেছিলাম তার থেকে বেশি হয়েছে। ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) গদখালীতে ফুল উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে নারী ফুলচাষীদের সঙ্গে সরকারের উন্নয়ন দর্শন সম্পর্কে উঠান বৈঠক ও শিশুদের ফুল বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গত, ঝিকরগাছার গদখালী অঞ্চলে এক হাজার হেক্টর জমিতে ১১ প্রকারের ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। এ এলাকার ৬০০ পরিবারের দেড় লাখ মানুষ ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। এ অঞ্চলে প্রতি বছর সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয়।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত