জন্মভূমি ডেস্ক : বগুড়ার শাজাহানপুরে পারভেজ আলম (৪০) নামে এক কলেজের প্রভাষককে দিনদুপুরে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আজ শনিবার (০২ সেপ্টেম্ব)র সকাল ১০ টার দিকে শাজাহানপুরের মাথাইল চাপড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এদিকে ছেলের হত্যার খবর পেয়ে পারভেজের বাবা স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পারভেজ আলম উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের সাবরুল এলাকার সাবেক মেম্বার মনসুর তালুকদার ওরফে মন্টু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় বিএম কলেজের প্রভাষক ও আশেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশেকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী।
তিনি জানান, পারভেজ সকালে সাবরুল বাজার থেকে বগুড়া শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাথাইল চাপড় এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চার থেকে পাঁচজন সন্ত্রাসী এসে তার পথরোধ করে কোপাতে থাকেন। পারভেজ সেখান থেকে দৌড়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে গিয়ে তাকে কুপিয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনতে পেয়ে পারভেজের বাবা সাবেক মেম্বার মন্টু মিয়া স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। প্রায় দেড় মাস আগে পারভেজের বড় ভাই পান্নাকে স্থানীয় সন্ত্রাসী সাগর ও তার লোকজন চাঁদার দাবিতে ছুরিকাঘাত করে। ওই সময় পান্না বেঁচে যান। তবে তখন ছোট ভাই পারভেজের ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছিল। আজকে সে ঘটনাই সত্যি হলো।
ছিলিমপুর মেডিকেল ফাঁড়ির এসআই আনিসুর রহমান বলেন, সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে পারভেজ নামে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথা, ডান হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ছিল। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাজাহানপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।