জন্মভূমি রিপোর্ট : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়ে বাঙালি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করেছিলেন তাকেই খুনিরা হত্যা করলো। ‘১৫ আগস্টে শুধু হত্যাকাণ্ডই ঘটানো হয়নি। ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়া হত্যার রাজনীতি শুরু করে। যে সকল সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করেছিলো জিয়া তাদেরকে বেছে বেছে হত্যা করে। তিনি আরো বলেন, জিয়া যেমন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার মহাপরিকল্পনা করেছিলো তার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে খালেদা জিয়াও একই পথ অনুসরণ করেছে। খালেদা জিয়া এদেশে বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবীদেরকেও বেছে বেছে হত্যা করেছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমিনিটি আইন করলেও আজ জনগণের রায়ে সেটি অকার্যকর হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীসহ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদেশে আর হত্যার রাজনীতি হতে দেয়া হবে না। সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র¡ তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু । এসময়ে বক্তৃতা করেন কাউন্সিলর শেখ খালিদ হোসেন, শারমিন রহমান শিখা। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুরাদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার পরিচালনা এসময়ে উপস্থিত ছিলেনা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হক হাওলাদার, এস এম গিয়াস উদ্দীন, সমীর কুমার সরকার, আব্দুল মজিদ বকুল, ফরহাদ হোসেন প্রমূখ।
সভা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।