
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে আসায় স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিলো। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত আর ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ভৌগলিক স্বাধীনতা আসলেও অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি আসেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসার পরে বাঙালি ফিরে পেয়েছিলো রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা। তবে তিনি অর্থনৈতিক মুক্তির কাজে হাত দেয়ার শুরুতেই তাঁকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়। বাংলার আকাশে আবারও নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার। গলা টিপে হত্যা করা হয় গণতন্ত্র, রুদ্ধ হয় বাক স্বাধীনতা থেমে যায় উন্নয়নের চাকা। তিনি বলেন, খুনী জিয়া মোস্তাক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে পুর্নবাসিত করে আলবদর আলশামস আর রাজাকাদের। ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের উপর দাড়িয়ে তাদের মন্ত্রীত্ব দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এই অপরাজনীতিকে প্রতিহত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি ভংগুর অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের ভীত শক্তিশালী করতে দেশের প্রতিটি গ্রামের পাড়া মহল্লায় গিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম আর অত্যাচার নির্যাতনের পরে ৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন এবং যুুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার শুরু করেন। আজ সকল অন্যায় অবিচার ও হত্যার বিচার এদেশে নিশ্চিত হয়েছে। তবুও স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত্রে থেমে নেই। তারা বাংলাদেশকে পিছিলে নিতে মানুষকে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করে হত্যা, অগ্নিসংযোগ করে সম্পদ বিনষ্ট করা এবং নাশকতাসহ নানা ধরনের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়ে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা। সভা পরিচালনা করেন মহানগর দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, আবুল কালাম আজাদ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম ট্টুুল, এ্যাড. সরদার আনিছুর রহমান পপলু, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, এস এম আকিল উদ্দিন, চ ম মুজিবর রহমান, আব্দুল হাই পলাশ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, মো. নুর ইসলাম, শেখ আবিদ উল্লাহ, এ্যাড. ফারুক হোসেন শেখ, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, ইউসুফ আলী খান, সরদার আব্দুল হালিম, মো. ফায়েজুল ইসলাম টিটো, মীর মো. লিটন, মো. শিহাব উদ্দিন, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, তকদির এ এলাহি, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি. আব্দুল জব্বার, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, নাছরিন আকতার, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, প্যানেল মেয়র এ্যাড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর জেসমিন পারভিন জলি, মো. আমির হোসেন, নুরিনা রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমি, এ্যাড. আব্দুল লতিফ, মো. মোক্তার হোসেন, আলী আকবর মাতুব্বর, আফরোজা জেসমিন বিথী, সাহেবুর রহমান পিটু মোল্লা, হাবিবুর রহমান দুলাল, গাজী মোশাররফ হোসেন, মো. শামীমুর রহমান শামিম, মো. ফারুক হোসেন, মো. শরিফুল ইসলাম মুন্না, মো. কবির পাঠান, মেহজাবিন খান, রেজওয়ানা প্রধানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। এর আগে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। আগামী ১৩ জানুয়ারি শনিবার বাদ মাগরিব খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

