
জন্মভূমি রিপোর্ট : বটিয়াঘাটা উপজেলার ভান্ডারকোট গ্রামের গৃহবধূ সালমা বেগম (৩৫) হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামি গ্রেফতার হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে র্যাব-৬ এর একটি টিম বাগেরহাট জেলার রামপাল থানাধীন বুজবুনিয়া এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করে। গত ২৬ অক্টোরর আসামিদের এলোপাতাড়ি মারপিটের পর টানা আট দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সালমা পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।
গ্রেফতারকৃত চার জন হলেন, মোঃ হেমায়েত আকুঞ্জি (৫৫), রোকেয়া বেগম (৪৫), মোঃ ইমরান আকুঞ্জি (২৭) এবং মোঃ আসমা বেগম (৩০)। তারা সবাই ভান্ডারকোট গ্রামের বাসিন্দা এবং নিকটজন। শুক্রবার থানা পুলিশ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে। এরপর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকিয়া সুলতানা তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
র্যাব জানায়, গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে নিহতের মেয়ে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে আসামি হেমায়েত আকুঞ্জির বাড়ীর সামনে পৌছালে তাকে মারপিট করা হয়। আহত মাদ্রাসা ছাত্রী এ ঘটনা বাড়ীতে এসে বলার পর তার মা সালমা বেগম অকুস্থলে যেয়ে তার মেয়েকে মারপিটের কারণ জিজ্ঞাসা করে। তখন অভিযুক্তরা তাকে গালি-গালাজ শুরু করে। সে সময় দুই আসামি হেমায়েত আকুঞ্জি এবং আলাউদ্দীন সরদার বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে, এর এক পর্যায়ে তারা সালমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তারাসহ অন্য আসামিরা ভিকটিমের নাক,মুখ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চড়,কিল, ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে। তার আর্তচিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহত সালমাকে তার স্বামী প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে নিয়ে যান। কিন্তু দুই দিন পর তার পেট ফুলে ওঠে, পেটে ব্যাথা শুরু হয়। ৩ নভেম্বর শ^াসকষ্ট শুরু হলে তাকে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের মেয়ে ইতি খাতুন ছয় জনকে আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এরপর র্যাব সদস্যরা ছায়া তদন্ত শুরু করেন এবং চার আসামির অবস্থান শনাক্ত ও গ্রেফতার করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) উপ-পরিদর্শক এমএম মোনতাছির মাহামুদ দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। যদিও গ্রেফতার চার আসামিকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে কিনা? তাৎক্ষনিকভাবে তিনি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি।