
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত পশুর নদ ভরটী জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহল। ভিন্ন জেলার লোকের নাম ব্যবহার করে সরকারি জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড দেখিয়ে চলছে দখলের পায়তারা। এদিকে বিপাকে পড়েছেন সরকারি ভাবে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ভূমিহীন ২৫ পরিবার। পশুর নদ ভরাট হয়ে গেলে প্রায় একযুগ আগে সরকারি ভাবে ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়। তার পর থেকে ভূমিহীন পরিবারগুলো ৬০ বিঘা জমি ভোগ দখল করে আসছেন। গত ৫ আগষ্টের পর একটি প্রভাবশালী মহল ভূমিহীন পরিবার গুলোকে উচ্ছেদ করে খাস জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভূমিহীন যুগোল মহালদার জানান, হালিয়া মৌজায় পশুর নদ ভরাটী জমি ২০১৩ সালে সরকার থেকে বন্দোবস্ত পেয়ে আমরা ভোগ দখলে আছি। যার খতিযান নম্বর আরএস ৩১৭, ২৪০, ৯২৭, ৮৯৭, ৮৯৬, ৮৯৫ ও ৩০৮। অথচ চিটাগংসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি দেখিয়ে নিকিতা, নাহিদ, আবরারসহ ১৩/১৪ জনের নামে ২০১২ সালের একটি রেকর্ড দেখিয়ে দখলের পায়তারা চলছে। আমরা বন্দোবস্ত পাওয়ার পর থেকেই রেকর্ডের জন্য সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে আবেদন করে আসছি। নিকিতাদের নেপথ্যে সহায়তা দিচ্ছেন একটি প্রভাশালী মহল। ফলে আমরা সরকার থেকে বন্দোবস্ত পেলেও বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: কবির আকুঞ্জি বলেন, এসএ মূলে ভূমিহীনদের মাঝে সরকার থেকে বন্দোবস্ত দলিল দেয়া হয়। অথচ বিআরএস জরিপ চলাকালে সরকারি জমি এলাকার বাইরের কিছু লোক তাদের নামে রেকর্ড করে নেয়। এটা সম্পূর্ণ ভূমিদস্যুতা ছাড়া আর কিছুই নয়। বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ভূমিহীনদের নামে রেকর্ড করাবার জন্য আমি নিজে থেকে এসিল্যান্ডের নিকট আবেদন করেছি। দ্রুত এর সমাধান না হলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) শোয়েব শাত ঈল ইভান বলেন, আবেদনটি আমার আগের সময়ের। তারপরেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

