
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনার বটিয়াঘাটায় বিধবার শ্লিলতাহানী ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় বিএনপির কথিত নেতা আবু বক্কর শেখের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। শুক্রবার মামলা রেকর্ডের পর থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। তার হাত থেকে রেহাই পায়নি হিন্দু, মুসলমানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেষার মানুষ। লুটপাট আর অন্যের জমি দখল তার কাছে স্বাভাবিক বিষয় হয়ে ওঠে।
বটিয়াঘাটার সাবেক পোষ্ট মাষ্টার মরহুম আয়ূব আলী সরদারের পরিবার মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে নামধারী বিএনপি নেতা আবু বক্কর বাহিনির হাতে চরম নৃশংসতার শিকার হয়। আয়ূব আলীর স্ত্রী পারভীন বেগম বটিয়াঘাটা থানায় তার মামলায় উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার সকালে জোরপূর্বক জায়গা দখল করতে এসে গাছপালা, ঘরদুয়ার ভাংচুর করতে শুরু করে। বাধা দিতে গেলে নির্মম ভাবে তার উপর হামলা করা হয়। সন্ত্রাসীদের লোহার রড, বাঁশের লাঠির আঘাতে তার বাম চোখের নিচে ফুলে কালো হয়ে যায়, হাটুর একাংশ ভেঙ্গে যাবার উপক্রম, হাতের কুনুই ফেটে গেছে। তারা গলার চেইন, কানের দুল ছিড়ে নিয়ে যায়। পরনের কাপড় টেনে হেচড়ে খুলে ফেলে শ্লিলতাহানী ঘটায়। তার আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। এজাহারে আবু বক্করসহ মাসুদ রহমান শেখ, ইব্রাহীম শেখ ও তানিয়া বেগমের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার পরেই পারভীনকে নিয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা সনদ নিয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আব্দুর রহিম বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগের পর এসআই শফিককে ঘটনা স্থলে পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

