জন্মভূমি রিপোর্ট : বটিয়াঘাটা উপজেলায় গাজী গ্রুপের প্রকল্পের সামনে ওয়াপদাবেড়ীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা স্বউদ্যোগে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কাজে বাঁধা দেবার অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেড়িবাঁধ না ভাঙলে ঘুম ভাঙে না পাউবো’র। পার্শ্বে বেড়িবাঁধ দখলে নিয়ে রিসোর্টের অংশ বাড়িয়ে নিয়েছেন, ঘের মালিকরা রাস্তা ছিদ্র করে পাইপের মাধ্যমে নোনা পানি তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে-তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। অথচ নদী ভাঙন রোধে স্থানীয়দের মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ না জানিয়ে, উল্টো নোটিশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের দেশ বাংলা হ্যাচারী থেকে সি পার্ল ইকোপার্ক পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ফিট বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই এলাকায় ভাঙনে ইতিমধ্যে গাজী গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অন্তত পাঁচ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পশুর নদীতে বর্তমানে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নদীর অতিমাত্রায় স্রোতের কারণে প্রতিনিয়ত পাড় ভাঙছে। আসছে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন আরও বড় হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকলে কৃষি ফসলসহ এলাকার ব্যাপক ক্ষতি আশঙ্কা রয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে নদীশাসন ও ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা না করলে জনসাধারণের চলাচল ও এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও ওই এলাকায় নতুন নতুন শিল্প করকারখানা গড়ে উঠেছে সাম্প্রতিক সময়ে। বাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিগত কয়েক বছর জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বিষয় সামনে নিয়ে স্থানীয় লোকজন, ব্যবসায়ী এবং গাজী গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব সম্পত্তি রক্ষার জন্য বাঁধ সংরক্ষনে কাজ করছে। সেই আলোকে নদীর চরে গাছের পাইলিং ও জিও বস্তা ফেলছে তারা। তবে মাঝপথে বাধ সেঁধেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সম্প্রতি ওই কাজ বন্ধ রাখতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী নির্বাহী কৃষ্ণপদ দাস নোটিশ প্রদান করেন। বর্তমানে উক্ত কাজ বন্ধ রেখেছেন এলাকাবাসী। এতে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা অবিলম্বে বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় গঙ্গারাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসলাম হালদার বলেন, ওই এলাকার ভাঙন রোধে পাউবো’র কাজ করা উচিত ছিল। তবে ভাঙন প্রতিরোধে স্থানীয় লোকজন নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করছে এটা আমার এলাকাবাসীর জন্য ব্যাপক উপকার হবে। কি কারণে কি উদ্দেশ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ বন্ধ করছে আমার জানা নেই। তবে কাজ বন্ধ হলে ওয়াপদা রাস্তা ভেঙে দাকোপ থেকে খুলনা রাস্তা বন্ধসহ এলাকা প¬াবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফ হোসেন বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিধিমালায় রয়েছে বেড়িবাঁধের কোন শ্রেণি পরিবর্তন করাযাবে না। আমরা সে জন্য তাদের নোটিশ জারি করেছি।