জন্মভূমি রিপোর্ট : বটিয়াঘাটা উপজেলার লবণচরা থানার মোহাম্মসাদ নগর এলাকায় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মো. হারেজ উদ্দিনের জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করেছে কতিপয় ভূমিদস্যু। বুধবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এস এস আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মো. হারেজ উদ্দিনের স্ত্রী তহমিনা খাতুন আমার খালতো বোন। এ কারণে হারেজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের অনুরোধে তাদের পাশে দাড়িয়েছি। হারেজ উদ্দিনের কৃষ্ণনগর মৌজায় ৪০শতক জমি ছিল। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় ওই জমি দুই মেয়ে রায়হানা ফারজানা পাপিয়া ও ফাতিমা তুজ জোহরা হীভার নামে রেজিষ্ট্রারী করে দেন। তাদের নামে জমি রেকর্ড সংশোধন করা হয়। এই দুই বোন নাবালক থাকা অস্থায় দখল করে রানী আখতার, আসমা আখতার, জাহিদ আনোয়ার, ক্কারি মো. ইয়াহ হিয়া, দেলোয়ার হোসেন, আ. রব শেখ, হেমেলার বেগম রীনা পারভীন, আ. জালিল, উত্তম কুমারসহ বেশ কয়েকজন দখলদার। দখলদারর অজানা কারণে ১৪২২নং দাগের বেদখলকৃত জমি দালালের মাধ্যমে কম মূল্যে ক্রয় করে রায়হানা ফারজানা পাপিয়া ও ফাতিমা তুজ জোহরা হীভার নামে রেকর্ডকৃত ১৪২৩নং দাগের জমিতে অবৈধ ভাবে দখল করে পাকা ৪তলা ভবন নির্মাণ করেছে।
সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২৫সেপ্টেম্বর লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানালে উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বললে তারা থানায় না এসে রানী আখতার, তার স্বামী এফ এম আখতার ফারুক ও তার ছেলে মো. রাজিব হোসেন রাতের আধারে একতলা ছাদ ঢালাই করে। এই ভূমি দস্যুরা গত গত ২২ অক্টোবর মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহিন অভিযোগ এনে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি এর প্রতিবাদ জানান।
সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দিনের দুই কন্যা যাতে তাদের নামে রেকর্ডিয় আর এস ১৪২৩ নং দাগের জমি ভোগ দখল করতে পারেন তার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত