শেখ আব্দুল হামিদ
উপজেলার শোলমারী নদীর মুখে চরজেগে ওঠায় মুত্যুর পথে রয়েছে। প্রায় ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ খর¯্রােতা নদীতে নৌযান চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে পড়েছে। ভরা জোয়ারে কিছু ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলতে দেখা যায়। ভাটার সময় এ নদীতে কোন নৌযান প্রবেশ করতে পারে না। কাজীবাচা নদীতে শোলমারীর উৎস স্থল। নদীটি পশ্চিম দিকে যেয়ে শিবসা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।
বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা উপজেলার বিলের পানি এ নদী দিয়েই প্রবাহিত হয়ে থাকে। নদী মোহনায় চর জেগে উঠায় হেটে পার হওয়া যায়। ফলে বিভিন্ন বিলের ¯øুইচ গেটের বাইরের মুখ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের পানি গেট দিয়ে নিস্কাষিত হতে পারছে না। প্রতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে ফসলহানী সহ বাড়ী-ঘর তলিয়ে যায়। ইতোমধ্যে বটিয়াঘাটার নালুয়া, পশুর নদের একাংশ, খড়িয়া, আমতলা নদী, জপঝপিয়াসহ বেশ কয়েকটি নদী ও খাল সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে গেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আশরফুল আলম খান বলেন, অতিগুরুত্বপূর্ণ শোলমারী নদী ভরাটের হাত থেকে রক্ষা করতে দ্রæত ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো। তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের এসব নদী না বাঁচলে বিভিন্ন বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। ধানসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জী দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, শোলমারী নদীর সাথে সংযুক্ত ঝপঝপিয়া ও মাঙ্গা নদী পলী পড়ে ভরাটের পথে রয়েছে। এসব নদীতে ড্রেজিংয়ের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে লিখে পাঠান হয়েছে। ওই সব নদী ড্রেজিং করা হলে শোলমারী নদীতে ¯্রােত বৃদ্ধি পাবে। তখন নদী মোহনায় গড়ে ওঠা চর আর থাকবে না। তাই যত দ্রæত সম্ভব ব্যবস্থা নেয়া হবে।