মোঃ এজাজ আলী : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে পদ্না সেতুর বদৌলতে। সেই সঙ্গে মোংলা বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও দেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ১৮টি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭৩৩ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরন ও চারটি সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান। এছাড়া যশোর-খুলনা-মোংলা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরনসহ আরো সাতটি মহাসড়কের প্রশস্তকরনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। চলমান প্রকল্প ও নতুন ছয় লেনের প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। নতুন প্রকল্পে অর্থায়নে বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। সড়ক বিভাগ খুলনা সার্কেল অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক সড়ক নির্মাণ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সড়কের ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রয়োজস অনুসারে সড়কে ফোরলেন, সিক্স লেন, ব্রিজ-কালভার্ট, ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। চলমান প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনীতি সমৃদ্ধ ও গতিশীল হবে। জানা যায়, চলমান ১৪টি প্রকল্পে প্রশস্তকরন কাজ রয়েছে ১৪টি মহাসড়কে। এর মধ্যে যশোর-খুলনা মহাসড়কের যশোর অংশ (পাল বাড়ি হতে রাজঘাট অংশ), খুলনা জেলার সড়ক প্রশস্তকরণ, খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা সড়কাংশ চার লেনে উন্নীতকরণ, মাগুরা-শ্রীপুর মহাসড়ক বাঁক সরলীকরণসহ আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, যশোর-মনিরামপুর-কেশবপুর-চুকনগরসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পসহ আরো কয়েকটি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাকি চারটি প্রকল্পে খুলনা ভৈরব সেতু, নড়াইল কালিয়া সেতু, খুলনা সড়ক জোনে ত্রুটিপূর্ণ বেইলি সেতুর স্থলে কংক্রিট সেতু ও কুষ্টিয়ায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া নতুন প্রকল্পে যশোর-খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ১০০ কি.মি., ভোমরা থেকে নাভারন প্রকল্প ৬০ কি.মি.,যশোর থেকে ঝিনাইদহ ৫০ কি.মি. দর্শনা থেকে মুজিবনগর ৩০ কি.মি., কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুর ৫১কি.মি., আঠারোমাইল-পাইকগাছা-কয়রা সড়ক ৬২কি.মি., ভাঙ্গা-ভাটিয়াপাড়া-নড়াইল-যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত ১৩০কিলোমিটার, ভাটিয়াপাড়া-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট-নওয়াপাড়া পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এসব কাজের কোনোটির প্রকল্প প্রনয়ণ কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে আছে, কোনোটির ডিপিপি একনেকে আছে। চারটি প্রকল্প জুলাইয়ের মধ্যে অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এছাড়া যশোর-খুলনা-মোংলা ছয় লেন সড়কের জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাবনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সড়কে যানবাহন চাপ কমাতে খুলনার জিরোপয়েন্ট ও ফুলবাড়ী গেটে দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ফুলবাড়ীগেটে কেডিএ ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা করায় প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, তবে তারা যদি সেখানে ফ্লাইওভার করে তাহলে সড়ক বিভাগের সঙ্গে যেন সমন্বয় করা হয়। সড়কটি ব্যস্ততম হওয়ায় এটি প্রশস্তকরণের পরিকল্পনা রয়েছে সড়ক বিভাগের।