
জন্মভূমি ডেস্ক : শতভাগ রফতানিকারক, প্রচ্ছন্ন রফতানিকারক ও রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের বন্দর সেবার বিপরীতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কাটা যাবে না। রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বন্দর সেবায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ভ্যাট আদায় শুরু করলে জটিলতা তৈরি হয়। এ জটিলতা নিরসনে গত ৩ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মূসক আইন ও বিধি বিভাগ থেকে ওই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) এনবিআরের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বন্দর সেবার বিপরীতে মূসক আদায় করছে। রফতানি বাণিজ্যের সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বন্দর সেবার বিপরীতে মুসক আদায় থেকে বিরত থাকার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলা।
চিঠিতে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, এনবিআর থেকে ২০১৯ সালের ১৩ জুন তারিখে প্রকাশিত এস.আর.ও (নং-১৮৬-আইন/২০১৯/৪৩-মূসক) অনুযায়ী ‘বন্দর’ অর্থ এমন কোনো উন্মুক্ত বা অন্যবিধ স্থান যেখানে আমদানিকৃত বা রফতানিযোগ্য যে কোনো পণ্যের বিনিময়ে বা অন্য কোনোভাবে মজুদ বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। যেকোনো পণ্য মজুদ বা সংরক্ষণের সহায়ক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সকল প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডসহ মজুদকৃত অথবা সংরক্ষিত কোনো পণ্যের নিরাপত্তা স্ক্যানিং সেবাসহ পণ্য চালানের নিষ্পত্তি বিষয়ক সকল কর্মকাণ্ড এবং এ সংক্রান্ত আইসিডি এবং সিএফএস সেবার অন্তর্ভুক্ত হবে।
অন্যদিকে ২০১৯ সালের ১৯ জুন প্রকাশিত এস.আর.ও (নং-১৮৮-আইন/২০১৯/৪৫-মূসক) অনুযায়ী মূসক নিবন্ধিত শতভাগ রফতানিকারক, শতভাগ প্রচ্ছন্ন রফতানিকারক ও রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে- রফতানি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ আমদানি ও তৈরি পণ্য উৎপাদনপূর্বক রফতানি উভয় পর্যায়ে বন্দর সেবাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
এ কারণে সরকারি আদেশ অনুযায়ী মূসক নিবন্ধিত শতভাগ রফতানিকারক, শতভাগ প্রচ্ছন্ন রফতানিকারক ও রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে রফতানি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ আমদানি ও তৈরি পণ্য উৎপাদনপূর্বক রফতানি উভয় পর্যায়ে বন্দর সেবা অব্যাহতিপ্রাপ্ত। বিষয়টি নির্দেশক্রমে অবহিত করা হলো।

