জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে লাইসেন্স বিহীন ভাবে বছরের পর বছর ধরে চলা ৪০ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টারকে বন্ধের জন্য বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য দপ্তর হতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনার পর প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধভাবে সচল রয়েছে। এতে সরকার লাখ-লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
অবৈধভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের জন্য গত ২৪ জুলাই খূলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনা পত্রটি জারি করা হয়। তাতে উল্লেখ রয়েছে- দি মেডিকেল প্রাকটিস এন্ড প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ল্যাবরেটরি (রেগুলেশন) অর্ডিনেন্স-১৯৮২ অনুযায়ী লাইসেন্স প্রাপ্তির পর বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার বিধান রয়েছে। বন্ধের নির্দেশনার আওতায় পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ অনলাইন আবেদন করলেও লাইসেন্স পায় নি।
অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান গুলো হলো- রয়্যাল ডায়গনস্টিক এন্ড কনসালটেশন লিঃ, ডাঃ বাদশা মিয়া মেমোরিয়াল ক্লিনিক, ডাঃ বাদশা মিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পপুলার ডায়গনস্টিক কমপ্লেক্স, সেবা ক্লিনিক, সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অনুসন্ধান ডায়াগনস্টিক এন্ড থায়রয়েড সেন্টার, রংধনু ক্লিনিক, রংধনু ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফেয়ার হেলথ ক্লিনিক, ড্যাপস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, কেয়ার ডায়াগনেস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, খুলনা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনেস্টিক সেন্টার, প্যাসিফিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কমপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব-টেক ডায়াগনস্টিক এন্ড সেলপ্যাথ, সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক ইসলামপুর ও দৌলতপুর (ডায়াগনস্টিক), দৌলতপুর চক্ষু ক্লিনিক, ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আতাহার হার্ট এন্ড মেডিকেল সেন্টার, খুলনা পঙ্গু এন্ড জেনারেল হাসপাতাল, হক নার্সিং হোম, হক নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খুলনা হেলথ গার্ডেন, খুলনা হেলথ গার্ডেন ডায়াগনস্টিক, খুলনা লাইফ কেয়ার হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ( শেখপাড়া এলাকায় একই নামে আরও একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান), আইডিয়াল নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগস্টিক সেন্টার, বিসমিল্লাহ প্যাথলজি, জোহরা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, মনোয়ারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, লাজ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খাদিজা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ডাঃ আমান উল্লাহ ক্লিনিক।
প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের নির্দেশনা পত্র সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের মালিকেরা দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি রাজস্ব প্রদান না করে বিধি বহির্ভূতভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে। নির্দেশনা পালনে ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানান- বন্ধের নির্দেশনা জারি হওয়া প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে দু’-একটি অন্তত বছর খানেক ধরে বন্ধ রয়েছে। কোনো-কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম বদল করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আবার কোনটি ঠিকানা বদল কেের সচল রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় খুলনার সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামান দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, যেহেতুৃ তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নেই, তাই জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে অচিরেই অভিযান চালানো হবে। তখন সেগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি সিলগালা করে দেয়া হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত