ডেস্ক নিউজ : দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন জেলায় বন্যায় ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শেরপুর জেলায় আটজন ও ময়মনসিংহে দুজন মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুইজন নারী।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
বন্যায় দুই লাখ ৩৮ হাজার ৩৯১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হচ্ছে। বন্যা আক্রান্ত তিনটি জেলার (শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা) ১৩টি উপজেলা এবারের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ ৭৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা।
মোট ৬৩ হাজার ১৭১টি পরিবার বন্যার কারণে পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্য ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯১ জন।
পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয় দিতে মোট ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মোট ১ হাজার ৩৩৭ জন সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই পেয়েছ ৫৬১টি গবাদি পশু।
তিন জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ২০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।
বাংলাদেশের উজানে পাহাড়ি ঢলে অগাস্টের মাঝামাঝিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার পর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে টানা ভারি বৃষ্টিতে রংপুর, নীলফামারীসহ উত্তরের নিম্নাঞ্চলে বন্যা হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে এমন বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বেড়ে ডুবেছে ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বুধবার বলছে, ময়মনসিংহ বিভাগের জিঞ্জিরাম, ভুগাই-কংস ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইলেও পানির সমতল এখন হ্রাস পাচ্ছে।
আগামী তিন দিন ময়মনসিংহ বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকায় এই সময়ে ওই তিন নদীর পানি আরো কমবে এবং নেত্রকোণা জেলার সোমেশ্বরী ও জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে ধারণা করছে পূর্বাভাস কেন্দ্র।