ডেস্ক রিপোর্ট : ঝিনাইদহসহ সারাদেশে সকল জলমহালে ইজারা পদ্ধতি বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শহরের ডা. কে আহমেদ সড়ক এলাকায় বাংলাদেশ বাঁওড় মৎস্যজীবী আন্দোলনের জেলা কার্যালয় থেকে লাল পতাকা মিছিল শেষ হয় শহরের পায়রা চত্বরে।সেখানে বাঁওড় মৎস্যজীবী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নির্মল হালদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন,সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব সুজন বিপ্লব, ঝিনাইদহ জেলা সংগঠক নিত্য হালদার,বাংলাদেশ ক্ষেতমজু সমিতির জেলা সভাপতি কাজী ফারুক, যুব ইউনিয়ন জেলা কমিটির সভাপতি আবু তোয়াব অপু প্রমুখ।
বক্তারা বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, বাঁওড় জলমহালে প্রথাগত ও ন্যায়সংগত সমাজ ভিত্তিক মালিকানার রাষ্ট্রীয় নিশ্চয়তা বিধানে দীর্ঘদিনের শোষণ-বঞ্চনায় অর্থনৈতিক অভিঘাতে নিঃস্ব, ভূমিহীন, বাঁওড় ভূমিজ মৎস্যজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান বাস্তবতায় মাছ উৎপাদনে ৬০ শতাংশ মালিকানা জেলেদের অধিকার ও ৪০ শতাংশ মালিকানা রাষ্ট্রপক্ষে যৌথ উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তিনামা বাস্তবায়নে বাঁওড়সহ জলমহালে সমাজ ভিত্তিক সমবায় মালিকানার ৪ দফা দাবিসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়ন না করা হলে জোরদার আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করে নেওয়া হবে।
বক্তারা আরও বলেন, নতুন দিনের বৈষম্যহীন ও অংশ গ্রহন মূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছে,সে অগ্রযাত্রায় অতি প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসেবে বাঁওড়ের মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তায় উপর্যুক্ত দাবিনামা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বিবেচনা করে তা বাস্তবায়নে সরকারের দৃশ্যমান ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভূমি উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত