যশোর অফিস
বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাঁচি মরি জনগণের জন্য গণতন্ত্রের আন্দোলন চলবে। দমন নিপীড়ন করে এ আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। এবং রাতের অন্ধকারে নয় দিনের আলোতেই আ’লীগকে প্রতিহত করা হবে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে যশোরে বিএনপির চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে হামলাসহ বিএনপি নেতাদের বাড়ি ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আজ সোমবার বিকেল জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, দমন পিরনের মধ্য দিয়ে জনগণের আন্দোলন থামানো যাবে না। সরকার প্রধান আন্দোলন কর্মসূচী প্রতিহত করা হবে না বললেও তার দলের নেতাকর্মীদের লেলিয়ে দিয়েছে। গত দশ দিনে সারাদেশে অসংখ্য হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে শত শত নেতাকর্মী। আর এসব ঘটনায় মিথ্যা অভিযোগে তিন হাজার মামলা হয়েছে।
জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে আমরা জানি, রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে জেনেই আমরা মাঠে নেমেছি। জনগণের টাকায় যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র গুলি কেনা হয় তাদেরকে হাতিয়ার বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছে সরকার। কিন্তু ইতিহাস বলে বিপদ দেখলে এরা কখনো পিছনে থাকে না। এখন জনগণের ক্ষোভ বিস্ফোরিত হওয়ার অপেক্ষায়। ফলে সময় ঘনিয়ে এলে এ হাতিয়ার বাহিনীকে তারা পাশে পাবে না।
সংবাদ সম্মেলনের আগে কেন্দ্রীয় বিএনপির এ দুই নেতা হামলার শিকার খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাসভবন ও জেলা বিএনপি কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
গত শুক্রবার রাতে যশোর বিএনপির শীর্ষ চার নেতার বাড়িতে হামলা চালায় ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর রবিবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামের গাড়ি, বাড়ি ও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, যশোর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।