
জন্মভূমি ডেস্ক : পাথর রপ্তানিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে ১০ দিন ধরে ধর্মঘট পালন করছেন ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরের পাথর পরিবহনকারী ট্রাক মালিকরা। এতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। এর কারণে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের আমদানিকারকরা।
জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্লট বুকিংয়ের নামে প্রতি ট্রাকে ৩-৫ হাজার করে টাকা আদায়ের প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করছে ফুলবাড়ি বর্ডার লোকাল ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তারা ভুটানের পাথরবাহী ট্রাক থেকে টাকা আদায়ের দাবি জানায়।
ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে পাথর রপ্তানিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে তারা ১০ দিন ধরে ধর্মঘট পালন করায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিরসন না হওয়া পর্যন্ত পাথর আমদানি বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
স্থলবন্দর সূত্র জানায়, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। বন্দরটিতে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক পাথর আমদানি হয়ে থাকে। ঈদের ছুটির পর বন্দরটির চালুর পর থেকেই সীমিত আকারে পাথর আমদানি হচ্ছে। তবে ফুলবাড়িতে ধর্মঘটের কারণে ১০ দিন ধরে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে আমদানিকারকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, একইসঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি পাথর নির্ভরশীল। এ বন্দরে পাথরের পাশাপাশি অন্য কিছু পণ্যও আমদানি করা হয়ে থাকে। গত কয়েকদিন ধরে ভারত থেকে পাথর আমদানি না হওয়ায় আমরা প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক অলস সময় কাটাচ্ছি।
আমদানিককারক আহসান হাবিব বলেন, ঈদের পর থেকেই বন্দরের পাথর আমদানি কম হচ্ছে। আমাদের এপারে কোনো সমস্যা নেই। তবে ওপারে ধর্মঘটের কারণে পাথর আমদানি না হওয়ায় আমরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভারতের ফুলবাড়িতে স্লট বুকিংয়ের নামে রপ্তানিযোগ্য পাথরের ট্রাক থেকে আকার ভেদে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারণে সেখানকার ট্রাক মালিকেরা পাথর পাঠানো বন্ধ রেখেছেন। যার কারণে ১০ দিনেও পাথর আমদানি হয়নি। পাথর আমদানি করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আশা করছি আগামী শনিবার থেকে পাথর আমদানি হবে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই। ভারতের ফুলবাড়ি বন্দরে সমস্যার কারণে কয়েকদিন ধরে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। যার কারণে পাথর আমদানি না হওয়ায় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তবে এ বন্দর দিয়ে অন্য পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক আছে। সমস্যা নিরসনে ঊর্ধ্বতন মহলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। চিঠিও ইস্যুও করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।