জন্মভূমি ডেস্ক : পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শাহবাগে জড়ো হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার (০৭ জুলাই) বিকেল ৪টার দিক থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন তারা।
এর আগে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে এসে এখানে যুক্ত হন তারা। তারা ডিপার্টমেন্ট ও হল থেকে নিজস্ব ব্যানারে উপস্থিত হন। শিক্ষার্থী সমবেত হলে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শুরু হয়ে হলপাড়া প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বর হয়ে শাহবাগ অবরোধ করে। আর আগে থেকেই যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শাহবাগ-সহ আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োজিত আছে।
এ সময় তারা ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ব্লকেড ব্লকেড বাংলা ব্লকেড’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন৷
আন্দোলনে অংশ নেওয়া নজরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদেরকে যদি বাধ্য করা হয় আমরা প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনে যাব। পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা আজ শাহবাগে জড়ো হয়েছি। পরবর্তী কর্মসূচি যা দেওয়া হবে, আমরা সে অনুযায়ী সব সাধারণ ছাত্ররা তা পালন করব।
অন্যদিকে, সোমবার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পড়াশোনা বাদ দিয়ে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ছেলে-মেয়েদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা বন্ধ করা হয়েছিল কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে বহাল হয়েছে। পড়াশোনা বাদ দিয়ে ছেলে-মেয়েরা আন্দোলন করছে। এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা এখন একটা সাবজুডিস ম্যাটার।
এর আগে শনিবার (৬ জুলাই) কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছিলেন, রোববার বিকেলে সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু হবে।
এসময় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার ভেবেছে আমরা এক-দুইদিন আন্দোলন করব এবং একদিন ক্লান্ত হয়ে যাব। আমরা এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদেরকে যদি বাধ্য করা হয় আমরা প্রয়োজনে সারাদেশে হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। আজকের ছাত্র সমাজকে আদালতের মুখোমুখি করা হচ্ছে, এ দায় নির্বাহী বিভাগ এড়াতে পারে না।