যশোর অফিস : বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আড়াল করার চেষ্টায় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি সমর্থদের লুটপাট ও অস্ত্র প্রদর্শন করে মহড়া দিয়ে জোরপূর্বক গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া ও ভাংচুরের খবর প্রকাশ হওয়ায় নিজেদেরকে নির্দোষ দাবী করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবাদ ছাপিয়ে তা আবার ফেইজবুকে পোষ্ট করে তারা নিজেদের লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আড়াল করে জনগনের ও প্রশাসনের চোখে ভালো সাজার চেষ্টা চালিয়েছে।
তবে ফেইজবুকে পোস্ট করায় জনগনের মাঝে বিষয়টি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।অনেকে জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কারীদের বিচার ও বহিষ্কার দাবী জানিয়েছেন।
এনায়মেশ প্রাসিপেয়েন্ট নামে একজন ফেইসবুককে লিখেছেন,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে বিএনপিকে জনগনের কাছে খারাপ বানাবার কোন অধিকার আপনাদের নেই।
শকিল আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, আপনারা রাস্তায় মোটরসাইকেল এ অস্ত্র প্রদর্শন করে মহড়া দিয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন অবশ্য দল আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
উল্লেখ্য, সৈরাচার সরকারের পতনের পর উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কুদ্দুস আলী বিশ্বাস ও বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মিঠু সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির হয়ে কাজ করছেন। এবং বিএনপির অন্য একটি পক্ষকে চাপে রাখতে শার্শা উপজেলা বাগআঁচড়া বিএনপির আহবায়ক আসাদুজ্জামান মিঠু ও সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রিপনের সমন্বয়ে যুবদল নেতা মাসুদ সহ ৩০/৪০ জনের একটি পেটোয়া বাহিনী গঠন করে তাদের দিয়ে লুটপাট ও ভাংচুরে লিপ্ত হয়েছেন। তার ই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুলের জমি থেকে জোরপূর্বক অস্ত্র ও বোমা প্রদশর্ন করে ২০ টি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যায়।পরে বিষয়টি অন্য দিকে মোড় ঘোরাতে এই বাহিনী সারাদিন বাগআঁচড়া বাজারে ৩০/৪০ টা মোটরসাইকেল সহ অস্ত্রের মহড়া দেয় এবং বকুলে বাড়ি ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ বিষয়ে যশোরে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির আব্বাস বলেন, এসব ঘটনা শুনেছি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।