বাগেরহাট অফিস : বাগেরহাটে মামলার আসামীদের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধর্ষণ মামলার বাদী ও সাক্ষীরা এব্যাপারে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ফকিরহাটের ঘনশ্যামপুর গ্রামের রুস্তুম আলী ফকিরের নারী লিপ্সু পুত্র কামাল ফকির দীর্ঘ দিন ধরে একই গ্রামের এক গৃহবধূ (২৮) কে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এতে রাজী না হওয়ায় গত ২১ শে নভেম্বর বিকেলে গৃহবধূর স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে লম্পট কামাল ও তার দুই সহযোগীকে নিয়ে ওই বাড়ীতে গিয়ে খুন জখমের ভয় দেখিয়ে জোর পুর্বক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এদিকে মোংলার দিগরাজ থেকে কাজ শেষে অনুমান সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাড়ীতে এসে ঘরের মধ্যে তার স্ত্রী অচেতন অবস্থায় বিচানায় পড়ে আছে পাশে বিবস্ত্র অবস্থায় লম্পট কামাল ফকিরকে দেখতে পায়। বারান্দায় তার কামালের সহযোগী মন্টু ও শরিফ শেখকে দাড়িয়ে থকতে দেখে সাজ্জাত ডাকচিৎকার দিলে প্রতবেশীরা ছুটে এসে দুই লম্পট পালিয়ে গেলে ও কামালকে নাতে নাতে ধরে পেলে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কামালকে গ্রেফতার করে। গুরতর আহত অবস্থায় গৃহবধূকে ঐ রাতেই খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এব্যাপারে ভিকটিমের স্বামী সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় কামাল ফকির, মিজানুর রহমান মন্টু, শরিফুল শেখ এর নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে কামাল গ্রেফতার হওয়ার পর তার পান্ডার দলের সদস্য মন্টু ও শরিফুল মামলার বাদী সাক্ষীদের দুই দিনের মধ্যে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। অন্যথায় মামলার বাদী সাক্ষীদের পরিনাম ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন এবং আসামীরা প্রকাশ্যে এলাকায় বাদী পক্ষের লোকজনকে খুজে বেড়াচ্ছেন। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ তাদের ধরবে না এবং মামলায় তাদের কিছুই হবে না। বাদী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করলো আসামীরা এলাকায় বুক পুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে উল্টো আমি বিচার চেয়ে পরিবার নিয়ে প্রান ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। স্বামী মোস্তফা, কুতুব, আজহার এলাকায় থাকতে পারছে না বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য কালাম শেখ বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী হেমায়েত গাজীর নেতৃত্বে এই পান্ডার দলের লোকেরা একের পর এক এই ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ।ড চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি দোষীদের শাস্তি দাবী করেন। এবষয়ে জা নতে চাওয়া হলে ফকিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আশরাফুল আলম বলেন এবিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।