মোল্লা আব্দুর রব, বাগেরহাট : ঈদুল আযাহা উপলক্ষে বাগেরহাটে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে লাল চাঁন ও কালা চাঁন নামের বিশাল আকৃতির দু’টি গরু। গরু দু’টির একটির ওজন ১০ মন ও অপরটির ১২ মন। এমন গরু দেখতে অনেকে ভিড় করছেন। আর প্রানিসম্পদ বিভাগ বলছে, কোরবানি উপলক্ষে গরু মোটা-তাজা করতে সকল ধরনের সহযোগিতা করছেন তারা।
সরোজমিনে বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চাঁপাতলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রচন্ড রাগি স্বভাবের লাল চাঁন, কালা চাঁনও কম যায় না। গরু দুটিকে খামার থেকে বের করতে হলে প্রয়োজন হয় দুই থেকে তিন জনের। এর মধ্যে শাহি ওয়াল জাতের লাল চাঁনের ওজন প্রায় ১০ মন আর ফ্রিজিয়ান জাতের কালা চাঁনের ওজন ১২মন। গরু দুটির মালিক বাগেরহাট সদর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস। পেশায় ঠিকাদার হলেও এলাকার বেকার সমস্যসা দূর করতে তিনি গড়ে তুলেছেন “আরুস এগ্রো” নামের একটি ফার্ম। বর্তমানে তার ফার্মে কাজ করছেন ৫ জন। আর ফার্মে গরু রয়েছে ৩০টি। এর মধ্যে এবারের কুরবানির ঈদে বিক্রি করবেন ২০টি গরু। বিভিন্ন জাত ও আকারের কারণে দামও তেমন চাচ্ছেন তিনি। তবে ফ্রিজিয়ান জাতের কালা চাঁন নিজে কুরবানি করবেন জানান তিনি।
সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস বলেন, পেশায় আমি একজন ঠিকাদার। কর্মসূত্রে খুলনায় আমার বসবাস। মূলত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও এলাকার বেকার সমস্যা দূর করতে আমার এই ফার্মটি গড়ে তোলা। আমার এই ফার্মে বর্তমানে ৫ জন কাজ করছেন। আগামীকে ফার্মটি আরও বড় করার ইচ্ছা আছে আমার। বর্তমানে ফার্মে গরু রয়েছে ৩০টি এর মধ্যে ২০টি গরু এবারের কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ শাহি ওয়াল জাতের লাল চাঁন ও ফ্রিজিয়ান জাতের কালা চাঁন। এর মধ্যে কালা চাঁন এবার আমি নিজে কোরবানি দিবো আর লাল চাঁন ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। এছাড়া অন্যান্যে যে গরুগুলো রয়েছে সেগুলো বিক্রি করা হবে।
ফার্মে গরু পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত করিম শেখ বলেন, আমার ফার্মে যে গরুগুলো রয়েছে, এদেরকে আমরা খুব যত্নসহকারে লালন-পালন করেছি। প্রতিটি গরুকে ঘাস, সাইলেন্স, ভুসিসহ সব প্রকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়। কোন ধরনের ক্যামিক্যাল বা ওষুধ আমরা খওয়ানি। গরুগুলোকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত খাবার খাওয়ানো হয়।
বাগেরহাট জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা, ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, জেলায় এ বছর কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এক লক্ষ ৪ হাজার ৫৮৬টি গবাদি পশু। এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ৯৯ হাজার ৪শ’ ৩০টি। যে কারণে বাইরে থেকে পশু আমদানির কোন প্রয়োজন নাই। এছাড়া জেলায় খামারি রয়েছে ৩১ হাজার ৫৭৫ জন। জেলা খামারিদের গরু মোটাতাজাকরণে প্রানিসম্পদ অফিস থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত