বাগেরহাট অফিস : বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালির বাড়িতে ডাকাতি মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার গভীর রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছেন। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা ১টি স্বর্নের চেইন, ১টি আংটি, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, একটি রেঞ্জ ও একটি কাটার উদ্ধার করেছে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রোববার বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন খুলনা শহরের গ্লাক্সোর মোড় এলাকার মোঃ দ্বীন ইসলামের ছেলে মোঃ সোহেল আবিদ ইসলাম ওরফে সোহেল (২৬), বারনগাতী-মেটেপোল এলাকার মৃত শহিদ গাজীর ছেলে মোঃ কামাল গাজী (৩৫), নাজিরঘাট এলাকার জবেদ ওরফে খোকন আলী শেখের ছেলে সুমন ওরফে রানা শেখ (৪০) খুলনা জেলার রুপসা স্ট্যান্ড এলাকার মালেক গাজীর ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে আলিফ গাজী (২৫) এবং বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকার মৃত অমরীচন্দ্র স্বর্নকারের ছেলে প্রদীপ কুমার স্বর্নকার (৪০)। এদের মধ্যে মোঃ সোহেল আবিদ ইসলাম ওরফে সোহেল শেখ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তার সাথে অন্য যারা ছিল তাদের নামও বলেছেন। অন্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।
এ বছরের ১০ জানুয়ারি গভীর রাতে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি ও তার ছোট ভাই কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুলতান আলমের বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয় ডাকাত দল। উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় ভীতির সঞ্চার হয়। এরপর থেকে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি-ডাকাতি রোধে রাত জেগে পাহাড়া দেয় এলাকাবাসী।