বাগেরহাট অফিস : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা‘র বিরুদ্ধে বস্তা থেকে চাল আত্মসাতের অভিযোগ ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে কাকড়াতলী বাজারে অবস্থিত জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করেন। এ সময় বস্তা প্রতি চালের অনিয়ম রয়েছে বলে জানান তিনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, বস্তায় চাল কম আছে ও উপকারভোগীদের পরিমানে কম দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সরেজমিনে চালের বস্তা পরিমাপ করা হয়। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে ৮৫টি চালের বস্তা পরিমাপ করা হয়। বস্তা প্রতি ৩০ কেজি চাল থাকার কথা থাকলে মাত্র ২০টি বস্তায় ৩০ কেজি চাল পাওয়া গেছে। ২১টি বস্তায় ছিদ্র না থাকলে তাতে ২৪ কেজি থেকে ২৮ কেজি পর্যন্ত চাল পাওয়া গেছে। বাকি ৪৪ বস্তায় ছিদ্র পাওয়া গেছে তাতেও চাল ২৪ কেজি থেকে ২৮ কেজি পর্যন্ত পাওয়া গেছে। তিনি বিষয়টি উদ্বোতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।
এর আগে চাল বিতরণের সময় এই অভিযোগ তোলেন কয়েকজন ইউপি সদস্য। তখন বস্তায় চাল কম থাকায় উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ বন্ধ করে গুদামে তালা মেরে দেন সরকারি ট্যাগ অফিসার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, বস্তায় চাল কম আসছে। আমি কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত নই। চাল চুরির তো প্রশ্নই আসে না। আমার কয়েকজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই চাল দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।