মোল্লা আব্দুর রব, বাগেরহাট
বাগেরহাটে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় আসামিকে ৫ হাজার ও বাদীর ১০ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে স্থানীয় সমাজপতিরা। সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের হালিশহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মোকাম বাগেরহাট বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই রাত ৯টার দিকে ওই নারী নিজ ঘরে দরজা দিয়ে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় ওই নারীর স্বামী বাড়িতে না থাকায় একই গ্রামের মৃত অমূল্যবালার ছেলে সাধন বালা (২৫) অত্যন্ত সু-কৌশলে ঘরের খিড়কি খুলে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় সাধন বালা তাকে জাপটে ধরে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। ভুক্তভোগী তার ইজ্জত বাচাতে ধস্তা-ধস্তি করে ও একপর্যায়ে সাধন বালা জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার স্বামী সজীব হালদার বাড়িতে প্রবেশ করে। আসামির নখের আচরে বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাগ পড়ে যায়। আসামি সজীব হালদারকে দেখেই দ্রæত দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সাধন বালাকে ধরে ফেলে। এ সময় সমাজপতিরা এসে সাধন বালাকে উদ্ধার করে ও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীর স্বামীকে সুষ্ঠু মিমাংশার আশ^াস দেন।
সন্তোষপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুশান্ত হালদার জানান, এলাকার যে কোন ঘটনা আমরা সমাজপতিরা একত্রিত হয়ে এভাবে সমাধান করে থাকি। এ বিষয়টিও আমরা জানতে পেরে আমরা সমাজপতিরা একত্রিত হয়ে বিষয়টি সমাধান করি। এতে অভিযুক্ত সাধন বালাকে ৫ হাজার টাকা ও শালিসী অমান্য করায় সজীব হালদারকে ১০ টাকা জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষণিক এই জরিমানার ৫হাজার ১০ টাকা স্থানীয় সমাজপতির কোষাধ্যক্ষের কাছে রাখা হয়।
স্বপন মজুমদার বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে সাধারণ মানুষের ছোটখাটো সমস্যা সমাধান করে থাকি। ইতিপূর্বে কখনো এ ধরনের কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। তিনি বলেন, সকলের মতামতের ভিত্তিতে দুই পক্ষের প্রতিশ্রæতি নিয়েই এর সমাধান করেছি। নির্ধারিত দিনে সাধন বালা তার দোষ স্বীকার করায় আমরা সকলের মতামতের ভিত্তিতে সাধন বালাকে ৫ হাজার ও সালিশী অমান্য করায় সজিব হালদারকে ১০ টাকা জরিমানা করি।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।