মোঃ এজাজ আলী : পালাবদল এসেছে প্রকৃতিতে। শেষের পথে বৈশাখ মাস। আর ১২ দিন পরেই বাঙালির মধূমাস হিসেবে পরিচিত জ্যৈষ্ঠ। মধূমাসের এ সময়ে খুলনার বাজারে চোখে পড়ছে গ্রীষ্মকালীন নানান ধরনের সুস্বাদু রসালো ফল। প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন নানান মৌসুমী ফল চলে এসেছে নগরীর বাজার। এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে দেশীয় রসালো লিচু।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে মূলত যেসব লিচু উঠেছে এগুলো মূলত অপরিপক্ক। একটু টক স্বাদের। দামও একটু চড়া। আর ক্রেতাদের অভিযোগ প্রতি একশ’ পিস লিচু ক্রয়ের পর ৮৫টি পাওয়া যায়, পঞ্চাশ পিস ক্রয়ের পর ৪২টির বেশি থাকে না। এতে রীতিমতো লিচু কিনে ঠকছেন সাধারণ ক্রেতারা। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফলের মধ্যে বর্তমানে ক্রেতাদের চোখ এখন লিচুর দিকে। এছাড়া পাড়া মহল্লায়ও কিছু সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা ভ্যানে করে লিচু বিক্রি করছেন। বাজারগুলো থেকে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে।
রোববার নগরীর ডাকবাংলা মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফলে ভরে গেছে দোকানগুলো। আম, লিচু, জামরুল, তরমুজ শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে। লিচু ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, তার দোকানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের লিচু তুলেছেন তিনি। প্রতি ১০০ পিস লিচুর দাম হাঁকছেন তিনশ’ টাকা করে। তিনি আরো বলেন, আর এক সপ্তাহ পর রাজশাহীর লিচু বাজারে পাওয়া যাবে। এখনকার লিচু অপরিপক্ক।
সাদিয়া নামের এক ক্রেতা লিচুর দাম শুনে চমকে গেলেন। তিনি দুইশ’ টাকা দাম বলে চলে গেলেন। লিচু কেনার পর সংখ্যায় কম পাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার দোকানে ১০০ পিসে একটিও কম পাবেন না। ওসব ব্যবসা আমি করি না।
আরেক ফল ব্যবসায়ী রহমত বলেন, তার দোকানে রাজশাহীর লিচু পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি একশ’ পিস লিচু তিনি ৫শ’ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তার দোকানে আমও রয়েছে। আমের বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। তবে লিচুর এখন ভরা মৌসুম।
এছাড়া মৌসুমের শেষ দিক হলেও বাজারে এখনো তরমুজ আছে। তবে তরমুজের দাম কমে গেছে। বাজারে ফল কিনতে আসা মহিউদ্দিন বলেন, তিনশ টাকা দিয়ে একশ লিচু কিনেছি। গোনার সময় দেখি ৮৫ পিস। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিক্রেতার উপর। বাজারে ভরপুর মৌসুমী ফল থাকলেও দাম চড়া। তবে প্রশাসনের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা। যাতে সকল শ্রেনির ক্রেতারা এসব মৌসুমী ফল কিনতে পারে। পাশাপাশি ভোক্তাদের ফরমালিনমুক্ত ফল কেনা নিশ্চিত করতে হলে বাজারে অভিযান পরিচালনা করতে অনুরোধ জানান প্রশাসনকে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দিনাজপুরের পরিপুষ্ট রসালো লিচু পাওয়া যাবে খুলনার বাজারগুলোতে। সাধারনত দিনাজপুরের লিচু স্বাদে ও মানে ভালো। সারা দেশেই এই লিচুর চাহিদা বেশি। বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে আছে বেদানা, বুম্বাই, মাদ্রাজী, চায়না থ্রী ইত্যাদি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত