
কয়রা প্রতিনিধি : বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দুই নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা মো: আবু সাঈদ। বুধবার বেলা ২টায় কয়রা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী আবু সাঈদ বলেন, ২০১৭ সালে একই গ্রামের খালেক মল্লিকের মেয়ে ফিরোজা সুলতানার সাথে তার বিয়ে হয়, বিয়ের দুই বছর পর স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলে, বিষয়টি সমাধান না করে আমার ছয় মাসের কন্যা সন্তান নিয়ে স্ত্রী বাবার বাড়িতে পালিয়ে যায়। সেই থেকে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার নামে যৌতুকসহ আরো অনেক মিথ্যা মামলা দেয়। প্রত্যেকটি মামলাতে আমার স্ত্রীর প্রতিবেশী আমেনা খাতুনকে সাক্ষী হিসাবে রাখে এবং এই মামলাগুলোতে আমার পক্ষে সাক্ষী দিবে বলে অর্থ দাবি করে এবং বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে সে অর্থ নিতে থাকে। এমতাবস্থায় উল্লেখিত মিথ্যা মামলা থেকে আদালত আমাকে অব্যহতি প্রদান করে। আমি আমার স্ত্রীকে ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বরে তালাক দেই। এরপর থেকে তারা পুনারায় হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করে যা বিজ্ঞ আদালতে চলমান। এই মামলাতেও ওই একই ব্যক্তি আমেনা খাতুন সাক্ষী আছে। সর্বশেষ আমার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর পিতার বাড়িতে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়া বিবাদ ও মারামারি হয়। এ বিষয়ে আমি কিছু না জানা সত্ত্বেও উক্ত একই ব্যক্তি আমেনা খাতুনকে সাক্ষী করে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমাকে ৪ নম্বর আসামি করে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর আমেনা খাতুন আমাকে ডেকে আমার পক্ষে সাক্ষী দেবে বলে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে। এমতাবস্থায় বারবার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির শিকার হয়ে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছি। বারবার মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।