বিজ্ঞপ্তি : নগরীর বৈকালীতে অবস্থিত ১৪নং ওয়ার্ড কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে খুলনা-যশোর মহাসড়কের বৈকালী বাজারে রাস্তার পূর্ব পাশে বিএনপির ওয়ার্ড কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কার্যালয়ের টেবিল-চেয়ারসহ সব আসবাবপত্র ও কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মহানগর বিএনপির দাবি ৫০-৬০ জন একটি দল সরকারের পক্ষে স্লোগান দিতে-দিতে মোটরসাইকেলে এসে বিএনপি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা আশেপাশের বেশ কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর চালায়।
অপরদিকে হরতালকে কেন্দ্র করে গত শনিবার দিনগত রাতে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ জন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ৩নং ওয়ার্ড যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম সানি, ১০নং ওয়ার্ডের সামছুজ্জোহা ডিয়ার, ১৪নং ওয়ার্ডের আব্দুল আওয়াল, ৩১নং ওয়ার্ডের হান্নান হাওলাদার, ২১নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান, আটরা-গিলাতলা ইউনিয়ন ছাএদলের সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, যোগিপোল ইউনিয়নের মারুফ হাওলাদার, ৩নং ওয়ার্ডের নেতা টুটুল ও মিঠুন, ১১নং ওয়ার্ডের মোঃ বিপ্লব হোসেন, ৩১নং ওয়াডের্র ফরিদ আহমেদ, ডালিম গাজী, ২১নং ওয়ার্ডের কালু মিয়া।
এদিকে বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, পুলিশ কর্তৃক বিনা গ্রেফতারী পরোয়ানায় বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা অগ্নিসংযোগের ঘটনার সাথে যারা জড়িত অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। বিনা ওয়ারেন্টে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের হয়রানি করা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন। রোববার প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অগ্নিসংযোগ ও গ্রেফতার করে চলামান শান্তিপুর্ণ গনতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে অবৈধ সরকারকে বিদায় করা হবে। বিবৃতিদাতারা হলেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী প্রমুখ।