বিএনপি-জামায়াত আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করছে। তারা বলেন, আন্দোলনের নামে সাধারণ জনগণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং আ’লীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করছে বিএনপি-জামায়াত। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও উন্নয়ন রক্ষায় আ’লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। আর বিএনপি আন্দোলনের নামে আবার আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের পাঁয়তারা নিচ্ছে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যুদ্ধাপরাধীদের মদদদাতা, স্বাধীনতা বিরোধী ও দেশ বিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোট এর ভয়ঙ্কর রূপের কথা। তারা সরকারের আধুনিকায়নের সুবিধা ভোগ করছে আর সরকারের বিরোধীতা করছে আর দেশের বিরুদ্ধে বাইরে অপপ্রচার করছে। বিএনপি জামায়াতের এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।
শনিবার মহানগর আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত সারাদেশে বিএনপি জামায়াত জোটের আন্দোলনের নামে জনগণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং অস্ত্রের মহড়ার প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও মিছিলে বক্তারা এ কথা বলেন। শনিবার বেলা ১১টায় নগরীর শঙ্খমার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় নগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র ও নগর আ’লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান বক্তা ছিলেন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, আ’লীগ নেতা নূর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জেড এ মাহমুদ ডন, আলী আকবর টিপু, এড. আলকা নন্দা দাস, এড. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, ফকির সাইফুল ইসলাম, হাফেজ মোঃ শামীম, মফিদুল ইসলাম টুটুল, আকীল উদ্দিন, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ কুমার ঘোষ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম এ নাসিম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহাফুজুর রহমান সোহাগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন, আ’লীগ নেতা ফেরদাউস হোসেন লাবু, বাবুল সরদার বাদল, মাহাবুবুর রহমান বাবলু মোলা, শিহাব উদ্দিন, আজম খান, ওয়াহিদুজ্জামান পলাশ, মির লিটন, রোজি ইসলাম নদী, আব্দুল কাদের শেখ, কাজী কামাল হোসেন, এড. আল আমীন উকিল, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, কবীর পাঠান, তাজুল ইসলাম, কাজী ইব্রাহিম মার্শাল, মহিদুল ইসলাম মিলন, মশিউর রহমান সুমন, মেহেদী মোড়ল, কে এম শাহীন, ইয়াসিন আরাফাত, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সাংবাদিক অভিজিৎ পাল, রাশেদুজ্জামান রিপন, আব্দুলাহ আল মামুন মিলন, আব্দুল মালেক, আরিফুর রহমান আরিফ, কাঞ্চন শিকদার, শওকত হাসান, বাদল সিপাহী, ইমরুল ইসলাম রিপন, হাসান শেখ, আসাদুজ্জামান শাহিন, লাবু আহমেদ, হারুন উর রশিদ, আনিসুর রহমান, ইব্রাহিম হোসেন তপু, জামিল আহমেদ সোহাগ, জিহাদুর রহমান জিহাদ, মহিদুল ইসলাম শান্ত, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভা শেষে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।