যশোর অফিস : জমি বিক্রি করে লিখে না দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় মণিরামপুরের বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শহীদ মো. ইকবাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সৈয়দ রবিউল আলম পলাশ। আসামি ইকবাল হোসেন মণিরমপুরের থানা রোডের নারিকেলপট্টি এলকার মৃত মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ব্যবসায়ীক সূত্রে আসামি ইকবাল হোসেনের সাথে খোজালিপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের পরিচয়। ইকবাল হোসেন তার নিজনামীয় মণিরামপুর মৌজার ১৩৫/২৯৭ দাগের ৯১ শতক জমির উপর দালান ঘরসহ বিক্রির ঘোষনা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে আব্দুল কাদের ৩৩ লাখ টাকায় এ জমির কেনার প্রস্তাব দেন ইকবাল হোসেনকে। ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি আব্দুল কাদের ৫ লাখ টাকা ইকবাল হোসেনকে দিয়ে একটি বায়নানামা করে ৩০ মের মধ্যে ২৫ লাখ টাকা দিলে জমি রেজিস্ট্রি করে দিবেন বলে উল্লেখ করা হয়। একই সাথে বাকি ৩ লাখ টাকা আব্দুল কাদের ওই বছরের নভেম্বর মাসে পরিশোধ করবেন বলে উল্লেখ করা হয়। বায়নানামা অনুযায়ী ইকবাল হোসেনকে টাকা পরিশোধ করে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অনুরোধ করেন আব্দুল কাদের। ইকবাল হোসেন জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর সাক্ষীদের নিয়ে ইকবাল হোসনের কাছে গিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার অনুরোধ করেন আব্দুল কাদের। এ সময় ইকবাল হোসেন জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অস্বীকার করলে ক্ষতিপূরণসহ টাকা ফেরত চান তিনি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আব্দুল কাদের ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ১৪ দিনের সময় দিয়ে ক্ষতিসহ ৪১ লাখ ৯১ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেন ইকবাল হোসেনকে। ইকবাল হোসেন লিগ্যাল নোটিশ পেয়ে জমি রেজিস্ট্রি অথবা ক্ষতিসহ টাকা ফেরত না দেয়ায় তিনি গত ২২ জানুয়ারি আদালতে মামলা করেন। আদালতের আদেশে মামলার তদন্তের দায়িত্বি যশোর পিবিআই। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বাদী ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সতত্যা পাওয়ায় আসামি ইকবাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মককর্তা।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত