ঢাকা-যশোর ও খুলনা জেলার ৬৯ নেতা-কর্মী গ্রেফতার
বিজ্ঞপ্তি : সারাদেশের ন্যায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ হরতালে নিরব সমর্থন দিয়েছে খুলনাবাসী। রোববার খুলনাতে থেকে সারাদেশের দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করেনি। ব্যবসায়ীরা স্বত:স্ফূর্তভাবে অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পরীক্ষা স্থগিত ছিল। সীমিত পরিসরে ইজিবাইক ভ্যান-রিকসা ও আন্তঃজেলা পরিবহনসহ কিছু গণপরিবহন চলাচল করলেও অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ঘর থেকে বের হয়নি ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ। সরকারের পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের একদফা দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশী হামলার প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় খুলনাতেও শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী জানিয়েছেন, গত তিনদিনে ঢাকায় ১৭ জন, খুলনায় ৩৬ জন ও যশোরে ১৬জন মিলে জেলা বিএনপির অন্তত ৬৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, অবিলম্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করুন। অন্যথায় দেশের কোটি জনতার প্রতিবাদের মুখে লজ্জাজনক পরিস্থিতির দায়ভার সরকার প্রধানকেই বহন করতে হবে। আগামীকাল ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ৭২ ঘন্টা সারাদেশের অবরোধ কর্মসূচি সফলের উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতি দাতা নেতৃবৃন্দ হলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, নগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী প্রমুখ।