ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন-বিএমএ খুলনার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলমের নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন ৩০ নম্বর কেডিএ এ্যাপ্রোচ রোডের বাস ভবনে অস্ত্র উদ্ধারের নামে অভিযান চালিয়েছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ধরনের অভিযান নাগরিক অধিকার খর্ব করার শামিল বলে তিনি দাবি করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরীর সাতরাস্তা মোড়স্থ বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং থেকে তিনি এসব কথা বলেন। ডা: শেখ বাহারুল আলম বলেন, মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর বাসায় যেভাবে তছনছ করা হয়েছে সেটি কোন সুস্থ্য মানষিকতার পরিচয় হতে পারে না। তিনি ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা সেবায় জড়িত। তাঁর নিজস্ব একটি পরিচয় আছে। তিনি নিজে কোন লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রধারীও নন। অস্ত্র উদ্ধারের নামে তাঁর বাসভবনের প্রতিটি কক্ষ বিশেষ করে বেডরুমেও তছনছ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে একদল আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ট্রমা সেন্টার নামীয় তাঁর প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন বাসভবনে গিয়ে বাসায় অস্ত্র আছে উল্লেখ করে অভিযানের কথা জানায়। প্রায় দেড়ঘন্টাব্যাপী বিভিন্ন কক্ষে অভিযানের নামে মালামাল তছনছ করা হয়। কিন্তু কোন অস্ত্র না পেয়ে তাঁর কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে চলে যায়। অভিযানে কোন সংস্থার সদস্যরা বা নির্দিষ্ট কোন অফিসারের নেতৃত্বে হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি কারও নাম উল্লেখ করতে পারেননি। তিনি বলেন, আশেপাশের অনেক সিসি ক্যামেরা আছে সেখান থেকে দেখেই জানা যাবে। তাছাড়া খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশও এর সঠিক তথ্য দিতে পারবে। জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে কেএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) মোহাঃ আহসান হাবীব বলেন, এ ধরনের কোন অভিযানের খবর তাঁর কাছে নেই। অর্থাৎ কারা কোন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো সেটিও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা: বাহারুল আলম আরও বলেন, ‘যেহেতু অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলে তাঁর বাসায় অভিযানটি হয়েছে আর অস্ত্র পাওয়া যায়নি সেহেতু কার বা কাদের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযানটি হলো তাকেও জনসম্মুখে এনে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’ তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে তিনি ছিলেন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। এমনকি জুলাই-আগষ্টের কোটা বিরোধী থেকে শুরু করে সরকার বিরোধী আন্দোলনে তিনি নিজে ছিলেন রাজপথে সরব। খুলনা বিএমএ’র সামনেই তিনি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে মানব বন্ধন করেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার ফল যদি হয় বিনা কারণে, বিনা অপরাধে, মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের একজন নাগরিককে হেনস্থা করা সেই রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে তিনি ধিক্কার জানান। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি গাজায় ইসরাইলী হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি রবিবারের বিক্ষোভকালে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট হয়েছে তারও নিন্দা জানান। তিনি বলেন, কারও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর বা লুটপাট করা হলে প্রতিবাদ ম্লান হয়ে যায়।
বিএমএ খুলনা’র সভাপতির বাসায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর তল্লাসী

Leave a comment