অভিজিৎ পাল
দীঘলিয়ার বারাকপুর ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে আহত পাঁচ, সাত ককটেল উদ্ধার, কয়রা সদর ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যালেট পেপার ছিনতাই এর অভিযোগে ভোট বাতিল ও একই উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে জোর করে সিল মারায় ৩০০ ব্যালেট বাতিল ব্যাতিত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে খুলনার ৩৪ ইউনিয়ন পরিষদে।
এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ মঞ্জুরুল করীম জানান, বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন। এ সময় এই কেন্দ্র পরিদর্শন করেন খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার। বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে থেমে যায় বৃষ্টি। সেই সাথে লোক ও বৃদ্ধি পায়। বয়স্কদেরও দেখা গেছে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকের সাথে করে নিয়ে আসছেন কেন্দ্রে। তবে ভোট কেন্দ্র গুলোতে করোনা রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই ছিল না।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন। সকাল আটটায় দীঘলিয়ার আয়তুন নেছা বালিকা বিদ্যালয়ে দেখা যায় নারী ও পুরুষ বুথে ভীর দেখা যায়। কেন্দ্রের বাইরেও দেখা যায় প্রার্থীর সমর্থক ও ভোটারদের ভীর।
এ ব্যাপারে দীঘলিয়া সদর ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এ জেড এম গোলাম কিবরীয়া জানান, স্বাস্থ্যবিধীর ব্যাপারে নির্দেশনা থাকলেও তা মানা সম্ভব হচ্ছে না। সকাল থেকে কেন্দ্র গুলোতে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পরার মত। পাশাপাশি ছিল আনসার সদস্য, rab ও সাদা পোশাকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দীঘলিয়া সদর ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বেলা ১১ টার দিকে দীঘলিয়ার বারাকপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী গাজী জাকির হোসেনের সমর্থকেরা স্বতন্ত্রপ্রার্থী মটরসাইকেল মার্কার আনসার উদ্দিনের উপর হামলা করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে পাচ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুল আলম ঘটনার সত্যতা শিকার করেন ও বলেন আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার। তবে দুই প্রার্থী একে ওপরের উপর দোস চাপিয়েছেন। আহতরা হলেন কালাম মল্লিক, আলমগীর মোল্লা, আহাদ শেখ, ইমরান শেখ, বাবুল শেখ। ঘটনাস্থল বারাকপুর ইউনিয়নের মীনাপাড়ায় গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনসার উদ্দিনের মা ও সহধর্মনী জানান, হিমেল গাজী, ফরহাদ গাজী, সোহেল শেখসহ কয়েক শত অস্ত্রধারী সন্ত্রাস তার স্বামী পাশের কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে তার সাথে থাকা লোকজনদের মারধর করে। পুলিশ তাদের রক্ষা করে ভোট দানের পর বের করে দিলে তারা ধাওয়া দেয়। গুলি করে ও ককটেল নিক্ষেপ করে। তবে দীঘলিয়া উপজেলার অন্য ০৬টি ইউনিয়নে ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিকাল সোয়া চার টায় দীঘলিয়ার সদর ইউনিয়নে সদর প্রাথমিল বিদ্যালয়ে এসে দেখা যায় এই কেন্দ্রের ২৭৯৭ ভোটের ২০০০ ভোট কাস্ট হয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলার ইউনিয়ন গুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। ভোটাররা বলেছেন এত ভালো ভোট তারা অনেকদিন পর দেখছেন।
বিকালে ভোট গ্রহন শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম জানান ব্যালেট পেপার ছিনতাই এর অভিযোগে কয়রা সদর ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই এর অভিযোগে ভোট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও একই উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে প্রকাশ্যে সিল মারায় ৩০০টি ব্যালেট বাতিল হয়েছে। এছাড়া অন্য সকল ইউনিয়নে শান্তিপূর্নভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে তিনি জানান।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত